Siliguri | পুলিশকে পাত্তা দিচ্ছে না পাব, রাজনৈতিক মদত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

Siliguri | পুলিশকে পাত্তা দিচ্ছে না পাব, রাজনৈতিক মদত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


শমিদীপ দত্ত, শিলিগুড়ি: নির্দিষ্ট সময়ের পরেও শহরের (Siliguri) বিভিন্ন পাব দেদারে চলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার পাবগুলিকে চিহ্নিত করে অভিযান চালাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হতে হল পুলিশ প্রশাসনকে। নির্ধারিত সময়ের পরেও পাব চালিয়ে ধরা পড়ার পরেও পুলিশের সঙ্গে পাব ম্যানেজাররা অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও আবার নোটিশ দিতে গেলে পালটা হেনস্তা করা হয়েছে পুলিশকেই। পাব মালিক, ম্যানেজারদের এত ক্ষমতা আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । এই ক্ষমতার পেছনে রাজনৈতিক মদতও রয়েছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসিপি (ইস্ট) রাকেশ সিং বলছেন, ‘অতিরিক্ত সময় ধরে চলা পাবগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি। অসহযোগিতা করলে আইনত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’

গত বুধবার গভীর রাতে ভক্তিনগর থানার তরফে সেবক রোডের একটি পাবে অতিরিক্ত সময় ধরে চলার অভিযোগে অভিযান করা হয়। রাত দুটো পর্যন্ত খোলা রাখার সময়সীমা থাকলেও পুলিশের টিমের নজরে আসে, রাত আড়াইটে বেজে গেলেও ওই পাবে দেদার গান-নাচ চলছে। এরপর আবগারি দপ্তরের সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে পাবের ম্যানেজারকে বিএনএস অনুযায়ী নোটিশ ধরাতে যান পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, ম্যানেজার ওই নোটিশ নিতে অস্বীকার করেন, পুলিশকর্মীদের জানিয়ে দেন পাব বন্ধ করা যাবে না। এরপরই পুলিশ সিরাজুল শেখ নামের ওই ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশকে একইরকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে সেবক রোডের আরেকটি পাবে। আবগারি দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, রাত দুটো পর্যন্তই পাব খোলার অনুমতি ছিল। যদিও পুলিশের নজরে আসে, নির্ধারিত সময়ের পরেও ওই পাব দিব্যি চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপর ওই পাবের ম্যানেজার কিযান কার্জির সঙ্গে কথা বলতে গেলে শুরু হয় ঝামেলা। পুলিশ কিযানকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর পাশাপাশি পাবের মালিক কিশোর বিশ্বকর্মার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

মাসতিনেক আগে একটি পাবের ম্যানেজারকে অতিরিক্ত সময়ের পরেও পাব চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। জামিন পাওয়ার পর ওই পাব ম্যানেজার ও মালিকের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও পোস্ট করা হয়। যা নিয়ে সরগরম হয় শহর।

শিলিগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেছিলেন, ‘আসলে পাবগুলোতে শাসকদলের কিছু নেতার নিয়মিত যাওয়া-আসা রয়েছে, যার কারণেই পাব মালিক, ম্যানেজাররা এত সাহস পাচ্ছেন। তাঁরা পুলিশ, আবগারি দপ্তর কিছুই মানছেন না। প্রশাসনের উচিত, অবিলম্বে অতিরিক্ত সময় ধরে পাব চালানোর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া। নইলে সমস্তটাই হাতের বাইরে চলে যাবে।’ পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, ‘প্রশাসন রয়েছে। আইন ভঙ্গ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবকিছুতে রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *