রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: পুজোর কয়েকদিন শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাত দুটো পর্যন্ত বার এবং পাব খোলা রাখা যাবে। দুটোর পর বার-পাব খোলা থাকলে লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়ার পথে হাঁটবে প্রশাসন। পুজোর সময় রাতের শিলিগুড়িতে মদ্যপদের হুজ্জতি, বেলেল্লাপনা এবং দৌরাত্ম্য ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। শিলিগুড়ি পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ করাতেই আবগারি দপ্তর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর এই কয়েকদিন বার-পাবগুলিকে বাড়তি দুই ঘণ্টা সময় দেওয়া হচ্ছে। সেই হিসেবে দুটোর মধ্যেই বার এবং পাবের গেট বন্ধ করতে হবে। ভিতরে থাকা গেস্টদের রাত দুটোর পর আর লিকার দেওয়া যাবে না।
বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাকেশ সিংকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
শিলিগুড়িতে সারাবছর মধ্যরাত পর্যন্ত বার এবং পাব খোলা থাকে। এর জেরে রাতের শহরে বার এবং পাবে প্রায়ই ঝামেলা লাগে। সেইসব সামলাতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয় পুলিশকে। কখনও পুলিশকে মার খেতে হয়, কখনও হেনস্তা হতে হয়। মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় পাব-বার থেকে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ার বহু উদাহরণ শিলিগুড়িতে আছে।
গ্রাহক সূত্রেই খবর, সেবক রোড, হিলকার্ট রোড, তিনবাত্তি সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় এমন একাধিক পাব রয়েছে যেগুলি নির্দিষ্ট সময়ের পরেও খোলা রেখে দেদার ব্যবসা চালায়। গত সপ্তাহেই শহরের এমন দুটি পাবে হানা দিয়েছিল শিলিগুড়ি পুলিশ। মালিকদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। মাটিগাড়ার একটি শপিং মলে এমন একাধিক পাব রয়েছে যাদের লিকার বিক্রি কিংবা ‘সিংগিং’ অনুষ্ঠান চালানোর অনুমতি নেই। শিলিগুড়ি পুলিশ তাদের এনওসি দেয়নি। বারবার আবেদন করলেও পুরোনো অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে পুলিশ এনওসি বাতিল করেছে। কিন্তু আবগারি দপ্তরের নজরদারির অভাবে পাবগুলি অবাধে চলছে। তাই পুজোর সময় পাবে লাগাম টানতে রাত দুটোর বেশি অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটির মালিককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাত দুটোর পর বার-পাব চালানো যাবে না। দুটোতেই পাবের গেট বন্ধ করতে হবে। এই সময়ের পর আর ডিজে-গানের অনুষ্ঠান চালানো যাবে না। ভিতরে থাকা গেস্টদের দ্রুত বের করতে হবে। রাত আড়াইটার মধ্যে সব খালি করতে হবে। সেই সময়ে শহরজুড়ে অভিযান চালাবে পুলিশ। বার-পাব খোলা দেখলেই এনওসি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই কাজ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।