শিলিগুড়ি: নিজেদের দাবি পূরণে হয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে, না হলে উত্তরকন্যার সামনে অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি দিল উত্তরবঙ্গ দলিত একতা মঞ্চ। এজন্য প্রশাসনকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে মঞ্চ। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের সবক’টি জেলা থেকে মঞ্চের ৩৫ জনের এক প্রতিনিধিদল উত্তরকন্যায় এসে স্মারকলিপি জমা দেয়। স্মারকলিপি জমা দিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মঞ্চের এক সদস্য গৌতম বাসফোর বলেন, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দরবার করেছি। বেশ কয়েকবার উত্তরকন্যায় এসে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষজন নিজেদের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। দাবি পূরণে এক মাসের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ না পেলে আমরা কয়েক হাজার সদস্য মিলে উত্তরকন্যার সামনে অবস্থানে বসব।’
মাসখানেক আগে উত্তরবঙ্গের ৯টি আলাদা সংগঠন মিলে এই মঞ্চ তৈরি হয়। পরে আরও তিনটি সংগঠন এই মঞ্চে যোগ দেয়। আগামীদিনে কোচবিহার থেকে মালদা জেলার আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন মঞ্চের ছাতার তলায় আসতে চলেছে বলে দাবি মঞ্চের অন্য এক সদস্য সুরিন্দর রাউতের। তাঁর কথায়, ‘বছরের পর বছর সব সরকারি ও সরকার অনুমোদিত দপ্তরগুলোতে সাফাইকর্মী সহ বিভিন্ন বিভাগে হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষজন কাজ করছেন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই আমাদের উপেক্ষিত থাকতে হচ্ছে। যেহেতু এতগুলো দপ্তরের সমস্যা কোনও একজন মন্ত্রী বা আধিকারিকের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়, তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই দেখা করে কথা বলতে চাই।’
কিন্তু যদি এবারেও প্রশাসন সেই ব্যবস্থা না করে, তবে কলকাতায় শিক্ষকদের আন্দোলনের ধাঁচে রাস্তায় অবস্থানে বসা হবে বলেও মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি কাজের ক্ষেত্রে বা প্রশাসনিক স্তরে কোনও অব্যবস্থা তৈরি হয়, সেই দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন গৌতম।
মঞ্চের তরফে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, সরকারি-বেসরকারি জমিতে বসবাসকারী সাফাইকর্মীদের জমির পাট্টা প্রদান, শিলিগুড়িতে রাজ্য সরকারের দলিতবন্ধু বোর্ডের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি সহ বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার রয়েছেন মঞ্চের সদস্যরা। এদিনের কর্মসূচিতে দিলীপ মল্লিক, সুভাষ হেলা, শংকর রাঙত, শিবপ্রসাদ হেলা সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।