শিলিগুড়ি: কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট জ্বালানোর জন্য বসানো জেনারেটরের ব্যাটারি চুরি করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। দুটি জেনারেটর থেকে মোট চারটি ব্যাটারি চুরি যাওয়ার খবর রয়েছে। উল্লেখ্য,ব্যাটারি ছাড়া ওই দুটি জেনারেটর চালু করা সম্ভব নয়। সোমবার সকালে স্টেডিয়ামের এক কর্মী চুরির বিষয়টি প্রথম দেখতে পান। এই চুরির ঘটনার জেরে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, স্টেডিয়ামের ১২ নম্বর গেটের পাশে একটি ঘরে তিনটি বড় আকারের জেনারেটর বসানো রয়েছে। সেই ঘরটি অবশ্য সর্বক্ষণ তালা বন্ধ থাকে। অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা সাবল দিয়ে সেই তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে এক এক করে চারটি ব্যাটারি নিয়ে চম্পট দেয়। জানা গিয়েছে, এক একটি ব্যাটারির বাজার দর প্রায় ২০ হাজার টাকা। খবর পেয়ে এদিন শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষের অনুমান, অন্তত ৩ থেকে ৪ জন এই চুরির পেছনে রয়েছে। কারণ, প্রতিটি ব্যাটারি আকারে যেমন বড় তেমনই ভারি। সেগুলিকে নিয়ে যাওয়ার আগে তা থেকে ‘ডিস্টিলড ওয়াটার’ বের করা হয়েছিল। প্রতিটি ব্যাটারিতে প্রায় ১০ লিটার ডিস্টিলড ওয়াটার ছিল। ব্যাটারির ওজন কম করার জন্য জল বের করা হয়েছিল বলেই তাঁদের অনুমান। স্টেডিয়ামের এক কর্মীর কথায়, ‘যেভাবে চুরি হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে যে, বেশ কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা এলাকার ‘রেইকি’ করেছে। জেনারেটের ভেতর কোথায় ব্যাটারি থাকে, কোন তারগুলি কেটে সেগুলিকে বের করতে হবে সেগুলি দুষ্কৃতীদের ভালো করে জানা ছিল।’ পুলিশের আশঙ্কা চুরির পর ব্যাটারিগুলি টোটো কিংবা ভ্যানের মধ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেই পথ দিয়ে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ৬ জন কর্মী। দিনে এবং রাতে ৩ জন করে কর্মী গোটা স্টেডিয়ামে নজরদারি চালান। রাতে গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে নজরদারি চালানো অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এক বছর আগেও জেনারেটরের ঘরের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেইবারে দুষ্কৃতীরা কিছুই চুরি করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ক্রীড়া বিভাগের মেয়র পারিষদ দিলীপ বর্মন বলেন, ‘মেয়রের সঙ্গে চুরির ঘটনাটি নিয়ে কথা বলব। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কীভাবে বাড়ানো যায় সেটা দেখছি।