Siliguri | কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধ’, কলেজ ছাত্রকে মার পুলিশের

Siliguri | কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধ’, কলেজ ছাত্রকে মার পুলিশের

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি : শিলিগুড়িতে পুলিশের দাদাগিরি! প্রতিবেশী কিশোরীর সঙ্গে কথা বলার ‘অপরাধে’ কলেজ ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ঘোগোমালির নেতাজি কলোনিতে। মারধরে আহত হয়েছেন সূর্য সেন কলেজের দ্বিতীয় সিমেস্টারের পড়ুয়া জিৎ বাড়ুই। তাঁর মাথা, বুক ও পেটে চোট লেগেছে। কালশিটে পড়ে গিয়েছে শরীরে। তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় আশিঘর ফাঁড়ির এএসআই অমিত সরকার। ছাত্রের পরিবারের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এএসআই বলেছেন, ‘কাউকে ধরতে গেলে যা করতে হয়, তেমনটাই করেছি। তবে ওই তরুণের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ছিল, তা বলা যাবে না। তাঁকে মারধর করা হয়নি।’ এই ঘটনা অস্বস্তি বাড়িয়েছে পুলিশের। এ বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ‘অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখব।’

ঘোগোমালির নেতাজি কলোনির বাসিন্দা জিৎ। সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বোনকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছিলেন তিনি। দাঁড়িয়েছিলেন বাড়ির সামনে মাঠে। সেই সময় প্রতিবেশী এক কিশোরী তাঁর সঙ্গে সেখানে কথা বলছিল। কিশোরীর বাবা বাইকে চেপে আচমকা সেখানে উপস্থিত হন। তাঁর বাইকে বসেছিলেন এএসআই অমিত সরকার। কিশোরী তার বাবাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এসে কথা বলছিল। অভিযোগ, এমন সময় ওই পুলিশকর্মী এসে জিৎকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন।

মঙ্গলবার হাসপাতালের বেডে শুয়ে ওই তরুণ বলেন, ‘বোনকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছিলাম। দাঁড়িয়েছিলাম মাঠে। তখন প্রতিবেশী এক কিশোরী এসে আমার সঙ্গে কথা বলছিল। আমি  নিজের মতো মোবাইল ঘাঁটছিলাম। সেই সময় এএসআই অমিত সরকার এসে আমায় মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করেন।’ জিতের সংযোজন, ‘পুলিশকর্মী আমায় বলতে থাকেন, ওই কিশোরীকে অপহরণের আগের কোনও ঘটনায় আমি যুক্ত। যদিও মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে আমি কিছু শুনিইনি। ওই পুলিশকর্মী আমার মাথা, বুক, পেটে মেরেছেন। কোনওরকম উঠে মা-কে ফোন করে ডাকি।’ একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) তরুণ ও তাঁর মাকে শাসাচ্ছেন ওই এএসআই। ছেলেটিকে যাতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেজন্য তিনি সময়ও বেঁধে দিচ্ছেন।

একজন পুলিশকর্মী কি এভাবে একজন ছাত্রকে মারধর করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আক্রান্ত পড়ুয়ার মা পুতুল সাহা বাড়ুই বললেন, ‘পুলিশ তো আমাদের রক্ষক, সেখানে পুলিশের দাদাগিরি দেখলাম। ওই এএসআই সকলের সামনে মাঠে ফেলে আমার ছেলেকে মেরেছেন। পরে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করি।’ বাড়ুই পরিবার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *