শিলিগুড়ি: পর্যটকদের পাশাপাশি এবার সেনা জওয়ানদের উদ্ধার এবং বিভিন্ন এলাকায় ক্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিল সিকিম প্রশাসন। আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে রাস্তা মেরামতির কাজ। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আগামী এক সপ্তাহ সিকিম পাহাড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি হলেও তা হবে হালকা থেকে মাঝারি। যদি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়, তবে আগামী সপ্তাহে নতুন করে প্রবল বর্ষণ হতে পারে বলেও আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে। ফলে তা শুরু হওয়ার আগে আকাশ পথে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সহ রাস্তা ও সেতু মেরামতিতে বিশেষ জোর দিতে চাইছে প্রশাসন। মংগনের জেলা শাসক অনন্ত জৈন বলছেন, ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী বণ্টনেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।’
উত্তর সিকিমের ছাতেনে শুধু পর্যটক নয়, প্রবল বর্ষণ এবং ধসের জেরে আটকে পড়েছিলেন সেনা জওয়ানরাও। গত কয়েকদিন ধরে পর্যটক উদ্ধারের পর শনিবার ছাতেন থেকে ৭৬ জন সেনা জওয়ানকে উদ্ধার করে পাকিয়াং বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। উল্লেখ্য, গত রবিবার এখানকার রাতে সেনাছাউনিতে ধস নামলে তিন সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়। এখনও নিখোঁজ ছয় সেনাকর্মী। তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছে। এদিন সেনা জওয়ানদের উদ্ধারের পাশাপাশি এখানে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এমআই-১৭ হেলিকপ্টারের সাহায্যে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিচ্ছিন্ন থাকা উত্তর সিকিমের বেশ কয়েকটি এলাকায়। জিমা, থাংগো, ডোংকালার মতো প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আটকে রয়েছেন অনেক গাড়ির চালক। রবিবার আকাশপথে তাঁদের উদ্ধার করা হবে বলে মংগন জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।