ম্যাঞ্চেস্টার: দুরন্ত লড়াই চালিয়েও সিরিজে পিছিয়ে। জেতা ম্যাচ হাতছাড়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে হেডিংলে ও লর্ডস থেকে। শুভমান গিলের তরুণ ভারত প্রশংসনীয় লড়াই চালালেও সুযোগ হাতছাড়া মানতে পারছেন না অনেকেই। সুনীল গাভাসকার যেমন শুভমান গিলকে আরও ঠান্ডা মাথায় দলকে পরিচালনার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
কাপ ও ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব ঘোচাতে অধিনায়ককে উত্তেজনায় ভুগলে চলবে না। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনি নয়, শুভমানের উচিত অতীতে ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ জয়ী তিন অধিনায়কের পথে হাঁটা। গাভাসকার বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডে তিন ভারতীয় অধিনায়ক টেস্ট সিরিজ জিতেছে। ১৯৭১ সালে অজিত ওয়াদেকার। ১৯৮৬ সালে কপিল দেব। ২০০৭-এ রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল সিরিজ জিতেছিল। লক্ষণীয়, তিনজনই ঠান্ডা মাথার। ওয়াদেকারের নিজস্ব ভঙ্গি ছিল। কপিল চিৎকার করলেও তা সবসময় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকত। দ্রাবিড় সেখানে ঠান্ডা মস্তিষ্কের।’
কিংবদন্তির দাবি, বার্মিংহামে ত্রয়ীর মিশেল দেখেছিলেন শুভমানের মধ্যে। জিতেছিল ভারত। অতিরিক্ত উত্তেজনা ঝেড়ে শান্ত থেকে নিজের কাজটা সেরেছিল। বাকি দলের মধ্যে যা সঞ্চারিত হয়। এটাই বজায় রাখা উচিত শুভমানের। অন্য কারও মতো আগ্রাসী হওয়ার প্রয়োজন নেই।
হরভজন সিংয়ের কথায়ও সেই সুর। প্রাক্তনের মতে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট কোহলি কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনি হওয়ার দরকার নেই শুভমানের। বলেছেন, ‘প্রত্যেকের নিজস্বতা থাকে। ধোনি একরকম, অনিল কুম্বলেও। সৌরভ একেবারে আলাদা ছিল। আসলে আমি যদি এরাপল্লি প্রসন্ন, সাকলিন মুস্তাকের মতো বল করার চেষ্টা করতাম, তা সম্ভব ছিল না। শুভমানেরও উচিত নিজস্বতা বজায় রেখেই নিজেকে মেলে ধরা। অল্প বয়স। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বিরাট বা ধোনি হওয়ার প্রয়োজন নেই। আরও উন্নত শুভমান, সেটাই ঠিকঠাক হবে। আমার বিশ্বাস, ভারতীয় দলকে শিখরে পৌঁছে দেওয়ার রসদ রয়েছে ওর মধ্যে।’