আহমেদাবাদ: ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। প্লে-অফ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ছুটছে গুজরাট টাইটান্স। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা কাটিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরেছে তারা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে শুক্রবার হারানোর স্বস্তির মধ্যেও শিরোনামে গুজরাট অধিনায়ক শুভমান গিলের রাগ। ম্যাচের মাঝে দু’বার তঁাকে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে।
গুজরাট ইনিংসের ১৩তম ওভারে রানআউট হন শুভমান। তিনি ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই হর্ষল প্যাটেলের থ্রো সানরাইজার্স উইকেটকিপার হেনরিচ ক্লাসেনের হাতে লেগে উইকেট ভেঙে দেয়। যদিও শুভমানের দাবি ছিল, বল নয়, ক্লাসেনের গ্লাভসে উইকেট আগে ভেঙেছে। কিন্তু একাধিক রিপ্লে দেখেই তৃতীয় আম্পায়ার শুভমানকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন। যা মানতে পারেননি গিল। মাঠে আম্পায়ারদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ানোর পর ডাগআউটের ধারে চতুর্থ আম্পায়ারের উপর ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে হায়দরাবাদের ইনিংসের ১৪তম ওভারে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর ওভারের চতুর্থ বলটি লেগ স্টাম্প লাইনে পড়ে অভিষেক শর্মার পায়ে লাগে। এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন গুজরাটের ক্রিকেটারেরা। মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেন শুভমান। রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পেই ছিল। তবু তৃতীয় আম্পায়ার গফ ‘আম্পায়ার্স কল’ দিলে বেঁচে যান অভিষেক। এই সিদ্ধান্তেও অসন্তুষ্ট শুভমান মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে কয়েক মিনিট তর্ক করেন। এই সময় পাঞ্জাব দলের সতীর্থ অভিষেক দু’বার এগিয়ে এসে বন্ধু শুভমানকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শুভমান আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন। কিছুক্ষণ তর্কের পর অসন্তুষ্ট শুভমান সরে যান। এমনকি একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পায়ের শুশ্রূষায় ব্যস্ত অভিষেককে মজার ছলে লাথিও মারেন শুভমান।
ম্যাচের পর অবশ্য শুভমান মেঠো ঝামেলাকে হালকা করার চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে কিছু বিষয় নিয়ে কথা হয়েছিল। অনেক সময় খেলার মধ্যে আবেগ জড়িয়ে থাকে। যখন আপনি ১১০ শতাংশ েদবেন, তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া স্বাভাবিক।’
শুভমান-অধ্যায়কে সরিয়ে রাখলে মাঠে চেনা নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসী মেজাজে আরও একবার পাওয়া গিয়েছে গুজরাটকে। গিল-বি সাই সুদর্শনের দুরন্ত শুরুর পর জস বাটলারের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে টাইটান্স শিবির দুইশো পেরিয়ে যায়। যে সফরে মাত্র ২২টি ডট বল খেলেছেন শুভমান ব্রিগেড। এই প্রসঙ্গে গিল বলেছেন, ‘গোটা ইনিংসে মাত্র ২২টি ডট বল খেলব, এই রকম পরিকল্পনা ছিল না। চেয়েছিলাম, নিজেদের স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে। স্কোর বোর্ডকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে দলের সব ব্যাটারেরই ধারণা আছে।’
গুজরাট শিবির যেখানে প্লে-অফের দেখছে সেখানে গতবারের ফাইনালিস্ট সানরাইজার্স সপ্তম হারে বিদায়ের রাস্তা কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে। হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও মেনে নিয়েছেন, বোলিং ও ফিল্ডিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হারতে হয়েছে। বলেছেন, ‘পাওয়ার প্লে-তে আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। প্রথম ছয় ওভারে ২০ রান বেশি দিয়েছি। ক্যাচিং ও ফিল্ডিং বাজে হয়েছে। অধিনায়ক হিসেব এই ব্যর্থতার দায় আমার।’
এদিক, টিম ইন্ডিয়ার তারকা ওপেনার আকাশ চোপড়া পড়েছেন তারকা পেসার মহম্মদ সামিকে নিয়ে। বলেছেন, ‘সামি ছন্দে নেই। আমরা সবাই চাই, সামি ভালো বোলিং করুক। কিন্তু এবারের আইপিএলে সেটা ওর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না।’