উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আর্থিক প্রতারণায় (Monetary fraud) নাম জড়াল বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি (Shilpa Shetty) ও তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার (Raj Kundra)। মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর (Mumbai-based businessman) সঙ্গে প্রায় ৬০ কোটিরও বেশি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই শিল্পা, রাজ ও আরও একজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
জানা গিয়েছে, শিল্পা ও রাজের বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে জড়িত একটি চুক্তিকে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। তারকা দম্পতির বিরুদ্ধের মামলা দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি (Deepak Kothari)। তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শিল্পা ও রাজের ওই সংস্থায় ৬০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। মূলত ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্যই তাঁদেরকে ওই টাকা দিয়েছিলেন দীপক। কিন্তু অভিযোগ, ওই টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ না করে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শিল্পা ও রাজ।
দীপকের দাবি, ২০১৫ সালে রাজেশ আর্য নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে শিল্পা ও রাজের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় শিল্পার নামে ছিল সংস্থার ৮৭ শতাংশ শেয়ার। ওই ব্যবসায়ী জানান, তারকা দম্পতি প্রথমে ১২ শতাংশ বার্ষিক সুদে ৭৫ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছিলেন। কিন্তু করের বোঝা এড়াতে বিনিয়োগ হিসেবে ওই টাকা স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তিটি চূড়ান্ত করা হয়েছিল।
এই বিপুল পরিমাণ টাকা ধাপে ধাপে বিনিয়োগ করেছিলেন দীপক। তাঁর দাবি, ২০১৫ সালের এপ্রিলে ৩১.৯৫ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছিলেন তিনি। এরপর ওই বছরের সেপ্টেম্বরেই আরও ২৮.৫৩ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছিলেন। সবমিলিয়ে মোট ৬০.৪৮ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তিনি। স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদও ৩.১৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেই সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন শিল্পা। এর কিছুদিন পরই ১.২৮ কোটি টাকার দেউলিয়া মামলা ওঠে তারকা দম্পতির সংস্থা বিরুদ্ধে। এরপর বারবার টাকা চেয়েও সেই টাকা পাননি দীপক। এরপরই তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন তিনি। প্রথমে জুহু থানায় জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ১০ কোটির বেশি অর্থের বিষয় থাকায় পরে মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্সেস উইং-এর হাতে তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত চলছে।