Shardul Thakur | শার্দূলকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে গিল, লোকেশের সাফল্যে ফেরার নেপথ্যে নায়ার

Shardul Thakur | শার্দূলকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে গিল, লোকেশের সাফল্যে ফেরার নেপথ্যে নায়ার

শিক্ষা
Spread the love


নয়াদিল্লি: লোকেশ রাহুল জানে না ও কতবড় খেলোয়াড়। কখনও-কখনও মনে হয়, নিজের ওপর আস্থায় সমস্যা রয়েছে ওর। কয়েকদিন আগেই বলছিলেন সুনীল গাভাসকার। কারও কারও মতে, গত কয়েক বছরে বারবার ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন প্রভাব ফেলেছে লোকেশের ব্যাটিংয়ে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের টেস্ট বিদায়ে পছন্দের টপ অর্ডারে। সুফল হেডিংলে টেস্টে।

লোকেশের সাফল্যের ট্র্যাকে ফেরার নেপথ্যে আরও একটা কারণ সামনে আসছে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ অভিষেক নায়ারের উদ্যোগ। সংযোগের কাজ করেছিলেন স্বয়ং রোহিত। সতীর্থের ব্যাটিং ক্ষমতার ওপর আস্থা রেখে বন্ধু অভিষেককে অনুরোধ করেছিলেন লোকেশের সেরাটা বের করে আনার দায়িত্ব নিতে।

অভিষেক এদিন যে প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর সবার আগে কথা বলেছিলাম রোহিতের সঙ্গে। লোকেশের থেকে আগ্রাসী, সেরা ক্রিকেট বের করে আনার কথা বলেছিল আমাকে। রোহিতের বিশ্বাস ছিল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আগ্রাসী রোহিত দলের তুরুপের তাস হয়ে উঠবে। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যার সুবিধা মিলবে বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি, ইংল্যান্ড সফরেও।’

অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম টেস্টেই ম্যাচ জেতানো ৭৭। অভিষেকের কথায়, ‘পারথ টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে চাপের মুখে দারুণ ইনিংস। ওর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। সেঞ্চুরি মিস করলেও ইনিংসটা ও উপভোগ করেছিল। পরে মজা করে বলেছিল, কোচ, কীভাবে সেঞ্চুরি করতে হয়, দেখিয়ে দিও। ইংল্যান্ড সফরে অনেক জল্পনা সরিয়ে শতরান। ওর প্রতিভা নিয়ে কখনও কারও সন্দেহ ছিল না। সমস্যা প্রতিভার বাস্তবায়ন। লোকেশের লক্ষ্যটা এখন পরিষ্কার। জানে, কী করতে হবে। তারই প্রতিফলন।’

রবিচন্দ্রন অশ্বীন প্রশ্ন তুলছেন শার্দূল ঠাকুরকে নিয়ে। প্রাক্তন স্পিনার বলেছেন, ‘দলে শার্দূলকে নিয়েছ। অথচ প্রথম চল্লিশ ওভারের মধ্যে ওকে সেভাবে ব্যবহারই করা হয়নি। বিশেষত, যখন জো রুট ব্যাট করছিল। রুটের বিরুদ্ধে শার্দূলের রেকর্ড বেশ ভালো! ওকে ঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে সুফল মিলত। দ্বিতীয় ইনিংসে বেন ডাকেট, হ্যারি ব্রুককে পরপর দুই বলে আউট করে। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে শার্দূলকে ব্যবহার করা উচিত ছিল।’

ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার মনে করেন, ২ জুলাই শুরু দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম একাদশে কুলদীপ যাদবকে রাখা উচিত। জসপ্রীত বুমরাহর খেলা নিয়ে টানাপোড়েন। পেস বিভাগে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তবে বাঙ্গারের বিশ্বাস, কুলদীপকে নিয়ে স্পিন বিভাগ জোরদার করলে লাভবান হবে দল। যুক্তি, প্রথম টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজাকে যেভাবে সামলেছেন ইংরেজ ব্যাটাররা, তা কিন্তু সম্ভব হবে না রিস্ট স্পিনার কুলদীপের বিরুদ্ধে। ইতিহাসও বলছে, রিস্ট স্পিনারের বিরুদ্ধে সফলও নয় ইংল্যান্ড। যা কাজে লাগানো উচিত গম্ভীরদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *