সানি সরকার, শিলিগুড়ি : চলতি বছরের মধ্যে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে, সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে অশ্বিনী বৈষ্ণোর মন্ত্রক। আর রেলের তরফে এমন ‘কড়া’ বার্তা পেয়ে প্রকল্পে গতি আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৪৪ কিলোমিটার লম্বা রেলপথের বৈদ্যুতিকরণে সিমেন্সকে ২১০ কোটির বরাত দিয়েছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (ইরকন)। মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক কাজও শুরু করেছে বহুজাতিক সংস্থাটি। আগামী মাস থেকে ওভারহেডের কাজ শুরু হবে বলে সিমেন্স সূত্রে খবর। ইরকনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দার সিং বলছেন, ‘প্রকল্পে বৈদ্যুতিকরণের দায়িত্ব সিমেন্স পেয়েছে। নকশা সহ প্রাথমিক কাজগুলিও শুরু করে দিয়েছে সংস্থাটি। আশা করছি, চলতি বছরের মধ্যে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।’ প্রকল্প সম্পন্ন হলে বাংলা ও সিকিমের পাহাড়ি পথে প্রথমবার ছুটবে বিদ্যুৎচালিত ট্রেন।
কখনও অতি বর্ষণ, কখনও আবার ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশার কারণে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ থমকেছে। তার মধ্যে ’২৩-এর অক্টোবরে সাউথ লোনাক লেক বিপর্যয় সমস্যা ডেকে আনে কাজের ক্ষেত্রে। কিন্তু যেহেতু প্রতিরক্ষার দিকে নজর রেখেই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে কেন্দ্র, তাই আর দেরি করতে নারাজ রেল। যে কারণে ইরকনকে চলতি বছরের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকার কাজ মে-জুন মাসের মধ্যে শেষ করার কথাও বলা হয়েছে। ধসপ্রবণ এলাকাগুলির কাজও ওই সময়ের মধ্যে শেষের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। বর্ষায় যাতে প্রকল্পের কাজ বন্ধ না থাকে, সেজন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরকনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর। ইরকন সূত্রে খবর, প্রকল্পের ৬৮ শতাংশ কাজ বর্তমানে শেষ। ৪৪ কিলোমিটার প্রকল্পের ৬ কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজও হয়েছে।
এদিকে, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষের বার্তা পেয়ে বৈদ্যুতিকরণের ক্ষেত্রে সিমেন্সকে ২১০ কোটির বরাত দিয়েছে ইরকন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ‘রিজিড ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে’ কাজ করবে সিমেন্স। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলে সিমেন্সের এক আধিকারিকের বক্তব্য। উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুলা প্রকল্পে বৈদ্যুতিকরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে সিমেন্সের। সেকারণে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের বৈদ্যুতিকরণের ক্ষেত্রে সংস্থাটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিন্দার।
