Sensible Metropolis Mission | বহু প্রকল্প ঝুলে, স্মার্ট সিটি মিশনে পিছিয়ে রাজ্য

Sensible Metropolis Mission | বহু প্রকল্প ঝুলে, স্মার্ট সিটি মিশনে পিছিয়ে রাজ্য

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ হিসেবে পরিচিত স্মার্ট সিটি মিশন ২০১৫ সালে যখন ঘোষণা হয়েছিল, তখন গোটা দেশের চোখে ছিল উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তের স্বপ্ন। শহরগুলিকে স্মার্ট করে তোলার প্রতিশ্রুতি ছিল কেন্দ্রের। যদিও তৃতীয়বার সময়সীমা বাড়িয়েও শেষ হল না কাজ।

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ৫০টি থিমভিত্তিক প্রভাব মূল্যায়ন গবেষণা শুরু করেছে, যার দায়িত্বে রয়েছে ২৯টি নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে আইআইটি ও আইআইএম-ও রয়েছে।

মোট ৬টি শহর পশ্চিমবঙ্গ থেকে স্মার্ট সিটি তালিকায় রয়েছে—কলকাতা (নিউ টাউন), আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া, শিলিগুড়ি এবং বজবজ। কিন্তু রাজ্যের অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। রাজ্যে বেশ কিছু প্রকল্প এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বিশেষত নিউ টাউন কলকাতা, যেখানে ‘গ্রিনফিল্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর পরিকল্পনা ছিল, সেখানেও একাধিক প্রকল্প ঝুলে আছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তথ্য বলছে, রাজ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে বারবার প্রশাসনিক জট, ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা এবং পর্যাপ্ত পরিকল্পনাবিদ ও প্রযুক্তিগত কর্মীর অভাবে দেরি হয়েছে।

১০০টি শহরকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন এখন প্রশ্নের মুখে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে প্রকল্প সম্পূর্ণ না হওয়া মানে শুধু উন্নয়ন নয়, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের অভাবের দিকটিও প্রকট হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের ৪ মার্চ পর্যন্ত মোট ৭৫০৪টি প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ৫৫৯টি প্রকল্প এখনও বাকি রয়েছে বারবার সময়সীমা বাড়ানোর পরও। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও বহু প্রকল্প ঝুলে রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, পুদুচেরি।

২০০৫ সালে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন চালু হয়েছিল ৬৫টি শহরে সংস্কারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প চালানোর জন্য। প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছিল ২০১১-১২ সালের মধ্যে। সেই প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকেই ২০১৫ সালে স্মার্ট সিটি মিশনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে পর্যালোচনার পর ভবিষ্যতের নগর উন্নয়ন প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি হবে। রাজ্য ও স্থানীয় স্তরের জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত করে স্মার্ট সিটি অ্যাডভাইজারি ফোরামের কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *