উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেমের টানে দেশের সীমানা পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন যে পাকিস্তানি মেয়েটি, তিনিই জন্ম দিলেন এক ফুটফুটে শিশুকন্যার। মেয়েটির নাম সীমা হায়দর(Seema Haider) এবং তাঁর ভারতীয় প্রেমিক, শচীন মিনা। মঙ্গলবার ভোর ৪ টায় গ্রেটার নয়ডার কৃষ্ণা হাসপাতালে ওই শিশুকন্যার জন্ম দেন সীমা। এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন সীমার আইনজীবী এপি সিং(AP Singh)। তিনি বলেন, ‘যারা সীমা এবং শচীনকে ভালোবাসে তাঁদের জন্য আজ বড়ই খুশির দিন। একটি শিশুকন্যার জন্ম হয়েছে। মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ রয়েছে।’
এই নবজাতকের নামকরণের জন্য সকলের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন সীমা-শচীন দম্পতি, এমনটা জানিয়েছেন এপি সিং। তিনি বলেন, ‘আমরা গোটা দেশ তথা পৃথিবীর মানুষের কাছে সীমা ও শচীনের শিশুকন্যার জন্য একটি নামের পরামর্শ চাইছি। সমাজমাধ্যমে আপনাদের প্রস্তাবিত নাম পাঠান যেটি কিনা ভারতীয় সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে রাখা। যে নামটি সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে সেই নামটিই রাখা হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে সীমা সিন্ধ প্রদেশ থেকে তাঁর ৪ সন্তানকে নিয়ে নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন তাঁর ভারতীয় প্রেমিক শচীন মিনার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য।শচীনের সঙ্গে সীমার পরিচয় হয় একটি অনলাইন গেমের সূত্রে,তারপর প্রেম আর এই প্রেমের অমোঘ টানেই পাকিস্তানে সীমা তাঁর আগের পক্ষের স্বামী গুলাম হায়দারকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন এদেশে। এরপর শচীনের সঙ্গে তিনি গ্রেটার নয়ডাতেই বসবাস করা শুরু করেন। কিন্তু শীঘ্রই আইনের চোখে ধরা পড়ে যান তাঁরা। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় সীমাকে। গ্রেপ্তার করা হয় শচীনকেও। যদিও পরে তাঁদের জামিনে মুক্ত করে দেওয়া হয়। সীমা ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন এবং শচীনকে বিয়ে করে নেন। সেই থেকে এই দম্পতি আইনসম্মত ভাবে সীমার ভারতে বসবাসের অধিকারের জন্য আইনি লড়াই লড়ে যাচ্ছেন।