SEBI | বড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ! প্রাক্তন সেবি প্রধান মাধবীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

SEBI | বড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ! প্রাক্তন সেবি প্রধান মাধবীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

শিক্ষা
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগে প্রাক্তন সেবি (SEBI) (সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া) প্রধান মাধবী পুরি বুচ (Madhabi Puri Buch) ও পাঁচ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। শুধু তাই নয় তদন্ত প্রক্রিয়া আদালতের তরফে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্য তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট  জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। যদিও আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেবি। সেবির দাবি , এই অভিযোগ মনগড়া, এবং সংস্থাকে এই মামলার শুনানিতে নিজেদের বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি।  বিশেষ আদালতের বিচারপতি শশীকান্ত একনাথ রাও বাঙ্গার স্বপন শ্রীবাস্তব নামে এক সাংবাদিকের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বলেন, কারচুপি ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার।’ যদিও সেবি জানিয়েছে, তারা এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করবে।

সেবির ইতিহাসে প্রথম মহিলা হিসেবে নির্দেশকের পদে বসেন মাধবী পুরি বুচ। গত ১ মার্চ তিনি অবসর নিয়েছেন। তার ৩ বছরের কার্যকালের শেষ বছরেই বেশ কিছু বিতর্ক তাঁকে ঘিরে ধরে।  হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে মাধবী ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের বিরুদ্ধে বলা হয় যে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র পর্ষদ সদস্য ও চেয়ারপার্সন হওয়ার পরেও নিজের উপদেষ্টা সংস্থা আগোরা অ্যাডভাইজ়রিতে মাধবী নিজের অংশীদারিত্ব বহাল রেখেছিলেন। মাধবীর উপদেষ্টা সংস্থা বিভিন্ন দেশীয় শিল্পকে পরামর্শ দিয়ে আয় করে থাকে বলেও রিপোর্টে জানানো হয়। অংশীদার হিসেবে সেই আয়ের দ্বারা লাভবান হন মাধবী ও তাঁর স্বামী । সেই সঙ্গে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের দাবি, কৃত্রিম ভাবে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম বাড়ানোতেও ভূমিকা ছিল মাধবী পুরি বুচের। এমনকি আদানী গোষ্ঠীর পরিচালিত বিভিন্ন সংস্থায় ঘুরপথে লগ্নি ছিল বুচ দম্পতিরও।

এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির তরফে মাধবী পুরি বুচকে তলব করা হয়। যদিও বৈঠক এরিয়ে যান তিনি। যা নিয়ে মাধবীর বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস। মুখ খোলেন খোদ রাহুল গান্ধিও।  পালটা বিজেপি দাবি করে মাধবীকে তলবের কোনও অধিকারই নেই পিএসির। বুচ দম্পতিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই বরাবর অস্বীকার করে এসেছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *