উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের ময়মনসিংয়ে সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Roy) দাদু উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর যে বাড়িটি ছিল তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। যদিও আপাতত ওই কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই এনিয়ে মঙ্গলবার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। এর মধ্যেই বাংলাদেশে ইউনূস সরকারকে (Yunus Authorities) কড়া বার্তা দিল কেন্দ্র সরকার (Central Goverment)। তাঁরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ওই ঐতিহাসিক বাড়িটি না ভাঙার জন্য অনুরোধ করেছেন। দরকারে বাড়িটি সংস্কারের জন্য সাহায্য করবে ভারত সরকার।
ময়মনসিংহ জেলায় হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে বাড়িটি অবস্থিত। বাড়িটি বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি ভবন (Kids’s Academy Constructing) হিসেবে ব্যবহার করা হত।
বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব বিভাগের (Division of Archaeology) তথ্য অনুযায়ী, বাড়িটি ১০০ বছরের বেশি পুরনো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বাড়িটি সেদেশের সরকারের হাতে আসে।
এদিকে ঢাকার শিশু বিষয়ক আধিকারিক মহম্মদ মেহেদি জামান সেদেশের সংবাদপত্র ডেইলি স্টারকে বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে সেটি ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। তাই এর জায়গায় সেমি-কংক্রিটের একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সাহিত্যিক, সংগীত শিল্পী, সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বসতভিটে ভাঙচুর করা হচ্ছে। মাস খানেক আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath tagor) পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর করেছিল দুষ্কৃতীরা। তারপর এবার সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি।
কেন্দ্র সরকারের তরফে বাড়িটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হয়। বদলে বাড়িটি সংস্কার করে সাহিত্য মিউজিয়াম গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর ফলে দুই দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন আরও ভালো হবে।