উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসকবিরোধী প্রচারের অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হয়ে উঠেছিল এই সন্দেশখালি। সেই এলাকার বেতাজবাদশা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, অত্যাচার, জমি জবরদখলের অভিযোগ আনেন গ্রামবাসীরা। র্যাশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গিয়ে এই তৃণমূল নেতার অনুগামীদের দ্বারা আক্রান্ত হয় ইডি আধিকারিকরা। বর্তমানে জেলে বসেই দিন কাটছে শাহজাহান শেখের। সন্দেশখালিতে গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে সিটের মাথায় থাকবেন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। এবং এই সিটের সদস্য হবেন বাদুড়িয়ার এসডিপিও রাহুল মিশ্র।
২০২৪ সালের মে মাসে শাহজাহান শেখ সহ জনা কয়েক দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন সন্দেশখালির জনা কয়েক মহিলা। তাঁরা হাইকোর্টে মামলাও করেন। বুধবার হাইকোর্টে সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এদিন মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই এদিন হাইকোর্ট লালবাজারকে সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি জানান, তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। সেই তদন্তের অগ্রগতি কতটা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট এক মাস অন্তর সিটকে জমা দিতে হবে বসিরহাট মহকুমা আদালতে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহান শেখ সহ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শাহজাহান শেখ সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। শাসকবিরোধী প্রচারের অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হয়ে উঠেছিল এই সন্দেশখালি। যদিও নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েনি। বসিরহাট কেন্দ্রে কয়েক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল। কেবল সন্দেশখালি বিধানসভা কেন্দ্রে শাসকদলকে টেক্কা দিয়েছিল বিজেপি।