Samuktala | চুরি সেরেও লোভের কাছে হার! কেক খেতে গিয়ে ধৃত ভাইবোন

Samuktala | চুরি সেরেও লোভের কাছে হার! কেক খেতে গিয়ে ধৃত ভাইবোন

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


রাজু সাহা, শামুকতলা: বড়দের তত্ত্বাবধানে নিখুঁত ‘অপারেশন’। পরপর তিনটি দোকানে চুরি সেরে ফেললেও শেষপর্যন্ত হার মানতে হল লোভের কাছে। মঙ্গলবার ভোরে শামুকতলা (Samuktala) বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুটি মোবাইল ফোন ও একটি কেকের দোকানে চুরি হয়। হাতেনাতে ধরা পড়ে বারো বছরের এক কিশোরী ও চোদ্দো বছরের এক কিশোর। মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন জিনিস চুরির পর পাশের কেকের দোকানে বসে কেক খায়। এসব করতে গিয়ে দেরি হয়ে যায়। ততক্ষণে ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লোকজন চলে এসেছেন। তাঁদেরই মধ্যে একজন অটোচালক তাদের দেখে ফেলেন। তিনিই বাকিদের খবর দেন। পুলিশ বলছে, এর পিছনে বড়দের গ্যাং রয়েছে। তারা বাচ্চাদের কাজে লাগাচ্ছে।

ধৃত দুজন সম্পর্কে ভাইবোন। এর আগেও কমবয়সিদের চুরির কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। শামুকতলা থানার বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ এর আগেও এমন কমবয়সি দুষ্কৃতীদের ধরেছে। তবে কিশোরী ধরা পড়ার ঘটনা মনে করতে পারছে না পুলিশও। শামুকতলা থানার ওসি বিশ্বজিৎ দে বলেন, ‘তিনটি দোকানে চুরির ঘটনায় এক কিশোর ও এক কিশোরীকে আমরা ধরেছি। এদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এর আগে বাচ্চা ছেলেদের বিভিন্ন চুরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে। কিন্তু এভাবে ১২ বছরের কিশোরীকে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকতে দেখে আমরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এই চুরির পিছনে বয়স্ক কোনও ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি।’ চক্রের মূল পান্ডার হদিস পেতে ধৃত কিশোর-কিশোরীর সঙ্গে গল্প করে তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রশান্ত বর্মনের কথায়, ‘আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজগুলিও আমরা সংগ্রহ করছি। চুরি যাওয়া কিছু মালপত্র বাজেয়াপ্ত করেছি। এই চুরির পিছনে আর কারা আছে সেটা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

মোবাইল ফোনের দোকানের মালিক নুর মহম্মদ ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ স্থানীয়দের ফোনে জানতে পারেন, তাঁর দোকানে চোর ঢুকেছে। দ্রুত দোকানে এসে দেখেন, কাঠের দরজা ভাঙা। পাশের কেকের দোকান ও অন্য একটি মোবাইলের দোকানের দরজাও একইভাবে ভাঙা। নুর বলেন, ‘শামুকতলা বস্তি এলাকার কমবয়সি একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে চুরির উদ্দেশ্যে আমার এবং পাশের দুই দোকানে ঢুকেছিল। তাদের আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলি। দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখি বেশ কিছু সামগ্রী, মোবাইল ফোন, ইয়ার বাডস, স্মার্টওয়াচ সহ অন্যান্য অনেক সামগ্রী চুরি হয়েছে। কেকের দোকানে কোনও জিনিস চুরি না করলেও তারা দুটি কেক খেয়েছে।’

দেবব্রত পাল নামে অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি মোবাইল ফোনের বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করি। দোকান থেকে চারটি স্পিকার চুরি হয়েছে। ১২ বছরের একটি মেয়ে এই চুরির ঘটনায় জড়িত জানতে পেরে আমরা অবাক।’

ওই দুজন পাশের একটি গলিতে কিছু চোরাই সামগ্রী লুকিয়ে রেখেছিল। সেসব উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদের সঙ্গে বড় কেউ ছিল। সে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে গিয়েছে। তার সঙ্গে আরও চোরাই সামগ্রী ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *