সামসী: বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের মুক্তি দিল হরিয়ানা পুলিশ। গত রবিবার বাংলাদেশি সন্দেহে হরিয়ানার গুরুগ্রাম পুলিশ আটক করেছিল চাঁচল-২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই পরিযায়ী শ্রমিক লাল্টু হোসেন ও সায়েদ আলিকে। এদের পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও চাঁচলের আরও ৬ পরিযায়ী শ্রমিককে একইভাবে মুক্তি দিয়েছে সেই রাজ্যের পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দুই পরিযায়ী শ্রমিক লাল্টু হোসেন ও সায়েদ আলির বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি। দুই পরিযায়ী শ্রমিকের হাতে কিছু আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন বিধায়ক। এদিন আব্দুর রহিম বলেন, ‘ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে দেশজুড়ে মানুষের কাছে জন্মের শংসাপত্র চাওয়া হচ্ছে। আগে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং-এর বাপের জন্ম শংসাপত্র দেখানো হোক। তারপর দেশবাসীর কাছে সেই সব নথি চাওয়া হোক।’ বিধায়ক আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। এদের জমানায় ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গোটা দেশজুড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে।’ তিনি বলেন, ‘এরপর রাজ্যের বাইরে যদি বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তা করা হয় তাহলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। অন্যান্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে বহু শ্রমিক কর্মরত। কিন্তু এখানে তাদের হেনস্তা হতে হয় না। কিন্তু আমার শ্রমিকেরা বাংলাভাষী হওয়ায় হেনস্তার শিকার হচ্ছে। এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র। আর এতে উস্কানি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা।’ তাই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের তিনি হুমকির সুরে বলেন, যেভাবে কলার খোসা ছাড়ানো হয়, সেভাবেই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের চামড়া ছাড়িয়ে নেব।’
বুধবার সন্ধ্যায় আতঙ্কে থাকা দুই পরিযায়ী শ্রমিক লাল্টু হোসেন ও সায়েদ আলির পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে যান মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি। সঙ্গে ছিলেন চন্দ্রপাড়া অঞ্চল তৃণমূলের চেয়ারম্যান ফরিকুল ইসলাম ও পঞ্চায়েত সদস্য লতেজা বিবি, চাঁচল-২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আশরাফুল আলমসহ অন্যান্যরা।