মুরতুজ আলম,সামসী: থানায় গিয়ে আইসি-র দেখা না পেয়ে মেজাজ হারালেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। ক্ষোভে থানার মূল ফটক ঘেরাও করে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চাঁচলে বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। তা নিয়ে এদিন থানায় কথা বলতে যান উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। কিন্তু থানায় গিয়ে আইসি-র দেখা না পেয়ে মেজাজ হারান তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে আইসিকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন বলে অভিযোগ। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংসদ। থানার সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি চাঁচলে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, ওই সংঘর্ষের সময় এক যুব তৃণমূল নেতাকে বেল্ট খুলে মারামারি করতে দেখা যায়। সেই বেল্টের আঘাত লাগে এক পুলিশ অফিসারের পিঠেও। ওই ঘটনার পর বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা-সহ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে সেই ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা প্রিয়াঙ্কা সরকারের স্বামী সুমিত সরকার ও যুব তৃণমূল নেতা জয়ন্ত দাস আজও গ্রেপ্তার হননি বলে অভিযোগ। তা নিয়েই চাঁচল থানায় এদিন আইসির সঙ্গে কথা বলতে যান উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। কিন্তু অভিযোগ, আইসি থানার বাইরে রয়েছেন বলে ফোন কেটে দেন। এরপর পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান সাংসদ। পরে দলের জনা তিরিশেক কর্মীদের নিয়ে থানার মূল ফটক ঘেরাও করে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। আইসি না আসা পর্যন্ত এই ধর্না চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে থানা চত্ত্বরে।
তবে ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের বক্তব্য,সাংসদ মিথ্যে অভিযোগ করছেন। উনার ফোন ধরা হয়। কিন্তু ফোনে আইনের কথা না বলে অপ্রাসঙ্গিক ও উলটো-পালটা কথা বলেন সাংসদ। পুলিশ আইন মেনেই ২৮ অগাস্টের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।