উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতকে দেওয়া অর্থ সাহায্য বন্ধ করেছে আমেরিকা (US)। ভারতে ভোটদানের হার বাড়াতে ও ভোটারদের উৎসাহ দিতে মার্কিন সরকারের তরফে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যা ১৮২ কোটি) খরচ করা হত। কিন্তু এই মার্কিন অনুদান নিয়ে বিতর্ক যেন বেড়েই চলেছে। এরই মাঝে অনুদান প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের নির্বাচনে বিদেশের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে ট্রাম্প প্রশাসনের মন্তব্য উদ্বেগজনক। সত্যিটা যে প্রকাশ্যে আসবেই, সেই ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন তিনি।
শনিবার দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন জয়শংকর। সেখানে তাঁকে মার্কিন সরকারের অন্তর্গত ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID) সংস্থার অনুদান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে, যা স্পষ্টতই উদ্বেগজনক। এর ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে এমন কিছু কার্যকলাপ রয়েছে যার একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে। তা হল একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সকলের মনে ঢুকিয়ে দেওয়া। দেশের সরকারের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ এই ধরনের সংস্থাগুলির রিপোর্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর আমার ধারণা, সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবেই।’
বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইউএসএইড-কে ভারতে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা দেওয়া হয়েছিল সরল বিশ্বাসে, সৎ উদ্দেশ্যমূলক কাজ করার জন্য। তবে এখন আমেরিকার তরফে বলা হচ্ছে, এমন কিছু কার্যকলাপ ছিল যা খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে আমার মনে হয় দেশের জানা উচিত কারা এই অসৎ কর্মকাণ্ডে জড়িত।’
এর আগে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘প্রাসঙ্গিক বিভাগ এবং সংস্থাগুলি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।’ এবার মার্কিন অনুদান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরও।