উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে (Pakistan) কড়া আক্রমণ শানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের (Cross-border terrorism) তীব্র অভিযোগ তুলে তিনি জানান, কিছু দেশ সন্ত্রাসকেই ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’তে পরিণত করেছে (State coverage)।
শনিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শংকর। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় শুরুতেই তিনি বলেন, ‘ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে নমস্কার।’ এরপরই সেখানে উপস্থিত সকল প্রতিনিধিদের রাষ্ট্রসংঘের আদর্শের কথা মনে করিয়ে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রসংঘের উদ্দেশ্য কেবল যুদ্ধ থামানো নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানানো। কেবল অধিকার রক্ষা করার জন্য নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য।’
এরপরই গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তানকে নিশানা করে জয়শংকর বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ভারত এই সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। কারণ আমাদের প্রতিবেশী দেশটি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল। কয়েক দশক ধরে, বড় বড় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে থাকে সেই একটি দেশেই। সীমান্ত পারাপারের বর্বরতার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ ছিল চলতি বছরের এপ্রিলে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা।’
এখানেই থামেননি জয়শংকর। এরপরই তিনি আরও বলেন, ‘ভারত তার নাগরিকদের রক্ষা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অধিকার প্রয়োগ করেছে। গোটা বিশ্বের কাছে এটি বৃহত্তর বার্তা ছিল। যখন কোনও দেশ প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতি ঘোষণা করে, যখন সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি শিল্প পর্যায়ে কাজ করে, যখন সন্ত্রাসবাদীদের প্রকাশ্যে মহিমান্বিত করা হয়, তখন এই ধরণের কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে নিন্দা করা উচিত।’ সেই সঙ্গে পহেলগাঁও হামলারও পরেও পাকিস্তানকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশগুলিকে সতর্ক করেও তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। সমগ্র সন্ত্রাসবাদের বাস্তুতন্ত্রের উপর নিরলস চাপ প্রয়োগ করতে হবে। যারা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারী দেশগুলিকে সহানুভূতি জানায়, সেই সন্ত্রাসবাদ একদিন তাদেরই কামড়াতে ফিরে আসবে।’