উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের তীব্র স্লোগান এবং হট্টগোলের মাঝেই বুধবার রাজ্যসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিশেষ আলোচনায় (Operation Sindoor) বক্তব্য রাখেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। আর সেখান থেকেই কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র জয়রাম রমেশকে (Jairam Ramesh) ‘চিনা-গুরু’ (China guru) বলেও কটাক্ষ করেছেন জয়শংকর।
মঙ্গলবারই রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমি সংসদে বলেছিলাম যে ভারতের বিদেশনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল পাকিস্তান ও চিনকে আলাদা রাখা। কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়েছি। সরকার ভারতের বিদেশনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। ভারত সরকার ভেবেছিল যে তারা পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করছে। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছে পাকিস্তানের পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও এই লড়াই চলছিল।’ শুধু গতকালই নয়, এর আগেও একাধিকবার ভারতের বিদেশনীতি ব্যর্থ বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।
আর এদিন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এনিয়েই মুখ খোলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি পালটা জবাবে বলেন, ‘ভারতের ইউপিএ সরকারই চিনকে নিজের কৌশলগত বন্ধু বানিয়েছিল।’ এরপরই নাম না করে জয়রাম রমেশকে ‘চিনা-গুরু’ বলেও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘চিনা-গুরুও আছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন আমার সামনে বসে থাকা সংসদ সদস্য (জয়রাম রমেশ)। তাঁর চিনের প্রতি এতটাই ভালোবাসা যে তিনি ‘চিন্ডিয়া’ শব্দটিও আবিষ্কার করেছিলেন। আমার হয়তো চিন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব রয়েছে। কারণ আমি অলিম্পিকের মাধ্যমে চিন সম্পর্কে শিখিনি। কিছু লোক আবার অলিম্পিক দেখতে গিয়ে চিন সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা কার সঙ্গে দেখা করেছিল বা কী স্বাক্ষর করেছিল, তা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।’
এখানেই অবশ্য থামেননি জয়শংকর। এরপরই তিনি বলেন, ‘ওঁরা তো চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে বাড়িতে প্রাইভেট টিউশনও নিত… চিনা-গুরুদের বক্তব্য, পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে… আমরা এই বিষয়ে সচেতন এবং মোকাবিলাও করছি। তবে পাকিস্তান-চিনের এই সম্পর্ক রাতারাতি গড়ে ওঠার অর্থ হল ওঁরা ইতিহাসের ক্লাসের সময় ঘুমিয়েছিল।’