উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : কথায় আছে, ‘আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখান।’ কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ত তা জানেন না। আসল বিষয়টি শুরু হয়েছে আমরিকার ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো নিয়ে। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম বিশ্ব রাজনীতি।
ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ভালো চোখে দেখতে পারছেন না ট্রাম্প (Donal Trump)। দুই দেশের বানিজ্য বন্ধ করার জন্য ভারতের ওপর লাগাতার শুল্ক হুমকি দিয়ে চলেছেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমত বিরক্ত ভারত (India)।
ইতিমধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (Tariff) চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তারপরও রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা জন্য আরও বেশি পরিমান শুল্ক চাপাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। তারা রাশিয়া থেকে তেল কিনে রাশিয়াকে যুদ্ধের জন্য আর্থিক সাহায্য করছে। এছাড়াও মুনাফা অর্জনের জন্য খোলা বাজারে সেই তেল বিক্রি করছে।
সোমবার বিদেশমন্ত্রকের (Ministry of Overseas Affairs) তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে নয়াদিল্লিকে ইচ্ছাকৃতভাবে আক্রমণ করছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ভারত যে দেশের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কাজ করবে। তা স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকা তাদের স্বার্থে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করে। ২০২৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৭.২ বিলিয়ন ইউরো। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭.৫ বিলিয়ন ইউরো। যা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমানের থেকে অনেক বেশি। ২০২৪ সালে সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে ইউরোপের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১৬.৫ লক্ষ টনে। অপরদিকে আমেরিকা তাদের পারমাণবিক শিল্পের জন্য রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড কেনে। বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পের জন্য প্যালাডিয়াম, সার এবং বিভিন্ন রাসায়নিক রাশিয়া থেকে আমদানি করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও সেই আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তাহলে ভারতের বেলায় এমন দ্বিমুখী আচরন কেন।
ভারতের এমন দাবির বিষয়ে সাংবাদিকেরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তখন বেশ কিছুটা হকচকিয়ে যান ট্রাম্প। আমতা আমতা তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’
এদিকে এক তরফা ভাবে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানো নিয়ে বেশ সরগরম বিশ্ব রাজনীতি। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে চর্চা চলছে। ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।