উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানে মার্কিন হামলার পরই বিস্ফোরক রাশিয়া (Russia)। পুতিন ঘনিষ্ঠ রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ (Dmitry Medvedev) জানিয়েছেন, ইরানকে পরমাণু বোমা সরবরাহ করতে প্রস্তুত বহু দেশ। তবে কোনও দেশের নাম করেননি তিনি। তিনি জানান, মার্কিন হামলায় খুবই সামান্য ক্ষতি হয়েছে ইরানের পরমাণু পরিকাঠামোর। বরং এই কর্মসূচি চলতে থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “এই হামলায় ইরান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ এখন দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতৃত্বের পাশে দাঁড়িয়েছে—বরং যাঁরা আগে সমর্থক ছিলেন না, তাঁরাও পাশে থাকছেন।”
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ইরান রাশিয়ার বন্ধু দেশ। সম্প্রতি নানা কারণে আমেরিকার সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্কে টানাপোড়েন রয়েছে। ফলে রাশিয়া যে ইরানের পাশে দাঁড়াবে মেদভেদেভের মন্তব্যে তা পরিষ্কার। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, সোমবার সকালে তিনি মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবে। আরাগচি বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের বন্ধু। আজই আমি মস্কো রওনা হচ্ছি, কাল সকালে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’
উল্লেখ্য ভারতীয় সময় রবিবার ভোরে ইরানের ৩ টি পরমাণুকেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। ফরদো, ইসফাহান ও নতনাজে এই পরমাণুকেন্দ্রে হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। তারা পালটা প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানের হাতে কোনও তৃতীয় দেশ পরমাণু অস্ত্র তুলে দিলে যুদ্ধ পরিস্থিতি যে ভয়ংকর হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে এই সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়ে উঠেছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন “পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে আমেরিকা সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদের ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী এবার আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে ইরান।” তিনি আরও বলেন, “আমরা কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যেই ছিলাম। জেনেভায় ইউরোপীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। কিন্তু ইজরায়েল ও আমেরিকা সেই আলোচনা বানচাল করে দিল। এবার আর আমেরিকার সঙ্গে কূটনীতি সম্ভব নয়।”
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশের সহানুভূতি ইরানের সঙ্গে। ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া আর কেউই সেভাবে আমেরিকার পাশে এসে দাঁড়ায়নি। ফলে ইরান এখন আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে যোগাযোগ শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে তারা কতটা সফল হয় সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।