দুবাই: কথায় বলে, মেজাজটাই আসল রাজা! মেজাজ ঠিক থাকলে মানুষ এমন অনেক কিছু করে, করার কথা ভাবে, যা সচরাচর দেখা যায় না। এমন ভাবনার হাতে গরম উদাহরণ চান? সহজ জবাব ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অভিযান শুরু। পাকিস্তানকে হেলায় হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা। ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও তুমুল সমালোচনার মধ্যে ডুবে থাকা ভারত অধিনায়ক রোহিত ও তাঁর দলের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাথমিক সাফল্য নিশ্চিতভাবেই মরু শহরে ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ অনুভূতি এনে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার সংসারে।
এমন অনুভূতির রেশ নিয়েই এদিন ভারতীয় সময় রাত আটটার পর দুবাইয়ে আইসিসির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে রবিবারের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিল টিম ইন্ডিয়া। আর সেই অনুশীলনের আসরে যোগ দিতে সবার প্রথমে ভারতীয় টিম বাস থেকে নামতে দেখা গেল দলের বোলিং কোচ মরনি মরকেলকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে দুবাই পৌঁছানোর পরই মরকেলকে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরতে হয়েছিল। প্রয়াত হয়েছিলেন তাঁর বাবা। মাঝের কয়েকদিন দলের সঙ্গে ছিলেন না বোলিং কোচ। আজ প্রয়াত বাবার শেষকৃত্যের কাজ করে ফের দুবাই ফিরেছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ। তাঁর প্রত্যাবর্তন মহম্মদ সামি, হর্ষিত রানাদের নিশ্চিতভাবেই আরও স্বস্তি দেবে।
স্বস্তির আবহের মধ্যেই এদিন মরু শহরে ভারত অধিনায়ক রোহিতকে নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। হিটম্যান আচমকাই হাজির হয়েছিলেন দুবাইয়ের বিখ্যাত সোনার বাজারে। স্থানীয়রা এই জায়গাকে বলে থাকেন ‘গোল্ড সুক’। স্থানীয় আরবি ভাষায় গোল্ড সুকের অর্থ হল সোনার খোলা বাজার। অত্যন্ত সরু গলির পথ। দুই ধারে সার দিয়ে সোনার দোকান। সেখানেই আচমকা হাজির হন হিটম্যান। আর ভারত অধিনায়কের সোনার বাজারে হাজির হওয়ার খবর জানাজানি হতেই রোহিত দর্শনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভারত অধিনায়ককে কাছ থেকে দেখা, সেলফি তোলার লক্ষ্যে দ্রুত কয়েক হাজার মানুষ জমা হয়ে যান দুবাইয়ের সোনার মহল্লায়। পরে স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে হিটম্যানকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে যেতে হয়। এমন হুড়োহুড়ির মাঝেও ভারত অধিনায়কের শরীরিভাষায় তেমন কোনও বিরক্তি ধরা পড়েনি। আসলে পাকিস্তানের দখল নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার পর রোহিতের মেজাজটাই এখন আসল রাজা।