নয়াদিল্লি: নিজে অভিনব শট খেলতে ভালোবাসতেন। তাঁর শট বৈচিত্র্য চমকে দিত বোলারদের, প্রতিপক্ষকে। বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি’ এবি ডিভিলিয়ার্স আবার মজেছেন ঋষভ পন্থকে নিয়ে। পঞ্চমুখ ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটারের ভয়ডরহীন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে।
হেডিংলে টেস্টের দুই ইনিংসে শতরানকারী ঋষভকে নিয়ে এবি বলেছেন, ‘অনেক ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করে ও। ওর ব্যাটিং স্টাইল বাকিদের চিন্তায় ফেলে দেবে। আমার তো মনে হয়েছিল, প্রথম ৩০ রান করার পথে কুড়িবার আউট হতে পারত দুই ইনিংসে। কিন্তু হয়নি। এটাই বড় ব্যাপার একজন ব্যাটারের কাছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তির ব্যাটারের মতে, ঋষভ এমন একজন খেলোয়াড় যে সবসময় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারে। একশো বারের মধ্যে নিরানব্বই বার যা করে দেখানোর ক্ষমতা রাখে। ঋষভের সাফল্যের মূল কারণ এটাই। এবি আরও বলেছেন, ‘সোফায় বসে ম্যাচ দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, ঋষভ এসব কী শট নিচ্ছে? এখন এসব শট খেলার উপযুক্ত সময় নয়। যদিও পরিসংখ্যান দেখো। দিনের শেষে সাফল্যটাই মূল। ও যা করে দেখাচ্ছে।’
ডিভিলিয়ার্সের আক্ষেপ, এত কিছুর পরও ভারতকে হারতে হয়েছে। নাহলে দুই ইনিংসের শতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরার পুরস্কার উঠত ঋষভের মাথাতেই। ভারতীয় দলের হার নিয়ে চলতি ময়নাতদন্ত নিয়ে এবি আরও বলেছেন, ‘এখন অনেক প্রশ্ন উঠবে। সমালোচনা, কাটাছেঁড়া চলবে। পরিবর্তনের দাবিও শোনা যাবে। তবে আমার ধারণা এখনই এসব চিন্তা অযৌক্তিক। পাঁচ ম্যাচের দীর্ঘ সিরিজ। আরও অনেক সুযোগ মিলবে নিজেদের প্রমাণ করতে।’
গ্রেগ চ্যাপেল আবার বিস্মিত, ঋষভের বাহারি শট দেখে। ১৩৪ ও ১১৮, হেডিংলে টেস্টে ঋষভের দুই ইনিংস প্রসঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেডকোচ বলেছেন, ‘অত্যন্ত দ্রুত রান করতে পারে। এমন সব শট খেলেছে, যা এমসিসি-র ব্যাটিং ম্যানুয়ালেও নেই। ওর ব্যাটিং দেখাটা উপভোগ্য। ও ব্যাট হাতে কখন কী করবে বলা মুশকিল। প্রতিপক্ষের জন্য যা বাড়তি চাপ।’
প্রথম দর্শনেই ঋষভের মধ্যে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ছায়াও দেখেছিলেন গ্রেগ। বলেছেন, ‘প্রথমবার যখন ওকে দেখি, তখন গিলক্রিস্টের কথা মনে পড়ছিল। অন্য ধরনের খেলোয়াড়। ব্যাটিংয়ের সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছে। একজন উইকেটকিপার হয়ে এরকম ব্যাটিং, দ্রুত রান করার ক্ষমতা দলের জন্য বাড়তি পাওয়া।’