Rishabh Pant | ঋষভের ডিগবাজি শরীরের জন্য ঝুঁকির! সাবধান করছেন চিকিৎসকরা

Rishabh Pant | ঋষভের ডিগবাজি শরীরের জন্য ঝুঁকির! সাবধান করছেন চিকিৎসকরা

শিক্ষা
Spread the love


নয়াদিল্লি: হেডিংলে টেস্টে ভারতের হারের মাঝেও চর্চায় ঋষভ পন্থ। দুই ইনিংসে শতরানে একাধিক নজির গড়েছেন। তারসঙ্গে সেঞ্চুরি সেলিব্রেশনে সামারসল্ট। প্রথম ইনিংসে ঋষভের যে ডিগবাজিতে মজেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরানের পর অবশ্য নিজেকে সংযত করেন। চিকিৎসকরা চান, সংযমটা বরাবরের জন্য দেখাক ঋষভ। সড়ক দুর্ঘটনার পর হাঁটুতে বড়সড়ো অস্ত্রোপচার হয়েছে। গোটা শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। এহেন পরিস্থিতিতে সামারসল্ট ঋষভের হাঁটুর জন্য ঝুঁকির হয়ে যাবে। ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটারের উচিত, ডিগবাজি থেকে বিরত থাকা।

গাড়ি দুর্ঘটনার পর ঋষভকে মাঠে ফেরানোর অন্যতম কারিগর চিকিৎসক দীনেশ পারদিওয়াল এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, এই ধরনের ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশনের কোনও প্রয়োজন নেই। মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে ঋষভের বেঁচে ফেরাটাই আশ্চর্যের। তাই শরীর নিয়ে আরও বেশি করে সতর্ক থাকা উচিত। চর্চায় থাকা ঋষভের ডিগবাজি সেলিব্রেশন নিয়ে চিকিৎসক পারদিওয়াল বলেছেন, ‘ঋষভ ছোট থেকে জিমনাস্টিক করে। ওর পক্ষে তাই ডিগবাজি খাওয়া কঠিন নয়। সেলিব্রেশনে সেটাই করে। নিখুঁতভাবে ডিগবাজিও খাচ্ছে। কিন্তু এটা ওর শরীরের জন্য অপ্রয়োজনীয়। দরকার নেই। ঋষভকে বুঝতে হবে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার পর ওর বেঁচে ফেরাটাই আশ্চর্যের।’

চিকিৎসক পারদিওয়ালের মতে, দুর্ঘটনার পর গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছিল। সঙ্গে গোটা শরীরে মারাত্মক আঘাত। এখান থেকে খুব কম মানুষ বেঁচে ফেরে। মানছেন, ওই ঘটনার পর ঋষভের জীবন দর্শন বদলেছে। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছে। এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু ফের চোট মানে সমস্যা বাড়বে, যা মাথায় রাখতে হবে ঋষভকে। ডিগবাজি খেয়ে সেলিব্রেশন না করাই নিরাপদ।২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর রুরকির বাড়িতে ফেরার পথে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। ভোরের দিকে রাস্তায় গাড়ি উলটে গিয়ে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় দুই তরুণ উদ্ধার করার পর প্রথমে দেরাদুন হাসপাতাল, পরে এয়ারলিফট করে মুম্বইয়ে এনে চিকিৎসা চলে পারদিওয়ালের অধীনে। ভারতীয় দলের প্রাক্তন স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ সোহম দেশাই আবার ঋষভের অন্য একটা দিক তুলে ধরেছেন। জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদের পর ভেঙে পড়ার বদলে কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন, ঘাম ঝরিয়েছিলেন। ছাঁটাই হওয়ার জন্য নিজেই নিজেকে শাস্তি দিয়েছিলেন। সোহম বলেছেন, ‘প্র্যাকটিসে ওর তাগিদটা দেখেছিলাম। যখনই ফ্রি হত, আমাকে টেনে নিয়ে যেত জিমে। ক্লান্তিকে পাত্তা দেয়নি। বলত, বাড়তি পরিশ্রম দরকার।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *