উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে অভয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আরজি কর মেডিকেল কলেজের নারকীয় ঘটনায় সুবিচারের আশায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। নির্যাতিতার পরিবারের পাঠানো ইমেলের জবাবে রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে পালটা ই-মেল এসেছে। তাতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আপ্ত সহায়ক শিগগিরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন।
জানা গিয়েছে, আরজি করে নারকীয় ঘটনায় মৃত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার ন্যায়বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ই-মেল করেছিলেন। নির্যাতিতার পরিবারের পাঠানো ইমেলের জবাবে রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে পালটা ই-মেল এসেছে। তাতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির আপ্ত সহায়ক শিগগিরই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করবেন। এই খবরে খানিকটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন তরুণীর বাবা-মা। তাঁদের কথায়, “এখন একটু হলেও আশা জাগছে। রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা পেলে ন্যায়বিচার পেতে সুবিধা হবে।”
রাষ্ট্রপতির ইমেল প্রসঙ্গে নিহত তরুণীর মা বলেন, “এতদিন ধরে মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের জন্য ই-মেল করছিলাম, কিন্তু কোনও জবাব আসছিল না। অবশেষে জবাব পেলাম। এতে খানিকটা হলেও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তবে শেষপর্যন্ত কী হবে, সেটাই এখন দেখার।”
প্রসঙ্গত, শুধু রাষ্ট্রপতিকেই নয়, অভয়ার পরিবার ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাকেও ইমেল করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, কোনও জবাব আসেনি। এমনকী, অমিত শার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাঁরা। কিন্তু দেখা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ঘটে যাওয়া আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেও, পরিবারের অভিযোগ, তিনি একা নন, আরও কয়েকজন এই অপরাধে যুক্ত। সেই কারণে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের ডাক দেন তাঁরা। সম্প্রতি নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন নির্যাতিতার মা। ওই অভিযানে উত্তেজনা ছড়ায়, আহত হন পুলিশও।