উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে আক্রান্ত (Attacked) হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) রেখা গুপ্তা (Rekha Gupta)। এদিন সেখানে চলছিল ‘জন শুনানি’ (Jan Sunwai) অর্থাৎ জনতার অভাব-অভিযোগ শোনার কর্মসূচি। সাধারণ মানুষ, বিজেপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিও। যদিও রেখার উপর হামলা চালানোর পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্ত শুরু হয়তেই প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর পরিচয়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রাজেশ ভাই খিমজি ভাই সাকারিয়া (৪১)। তিনি রাজকোটের বাসিন্দা বলেই দাবি। অভিযোগ, ‘জন শুনানি’ চলাকালীন রাজেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যান। এরপর আচমকাই চিৎকার করে গালিগালাজ শুরু করে দেন। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর চুল টেনে ধরে তাঁকে চড় মারেন ওই ব্যক্তি। যদিও সেই সময়ই উপস্থিত জনতা রাজেশকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ওই ব্যক্তি ঠিক কী কারণে রেখা গুপ্তার উপর হামলা চালাল, তা নিয়ে উঠেছে নানা দাবি।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজেশের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তাঁর মা ভানু সাকারিয়ার দাবি, রাজেশ কুকুরপ্রেমী। কিন্তু সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট যে দিল্লি-এনসিআর থেকে কুকুরদের সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে, তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তবে তিনি যে দিল্লিতে চলে যাবেন, তা নিয়ে কোনও ধারণা ছিল না বলেই দাবি রাজেশের মায়ের। রাজেশ মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও দাবি তাঁর।
এদিকে, অন্য একটি সূত্রের দাবি, রাজেশের এক আত্মীয় বর্তমানে জেলবন্দি। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেই প্রসঙ্গে সাহায্য চাইতেই নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন রাজেশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাজেশ প্রথমে রেখার হাতে কিছু কাগজপত্র তুলে দেন। এরপরই চিৎকার করে রেখার উপর হামলা চালান। যদিও অনেকে দাবি করেছেন, সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন রাজেশ। তবে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। সেই সঙ্গে হামলার পরপরই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছিল। যদিও তা ভুল বলে জানা গিয়েছে পরে।
তবে রেখাকে মারধরের পেছনে ঠিক কী কারণ থাকতে পারে, সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত রাজেশকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে নিরাপত্তা। কারণ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গুপ্তাকে জেড-প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়। তারপরও এমনটা ঘটনা কীভাবে ঘটল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।