গৌতম দাস ও অরিন্দম বাগ, গাজোল ও মালদা: গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে প্রায় ২ লাখ টাকার জাল নোট সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করল গাজোল থানার পুলিশ। গভীর রাতে কদুবাড়ি মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজন সন্দেহভাজন তরুণকে আটক করা হয়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে দু’জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার জাল নোট। নোটগুলি সবই ৫০০ টাকার।
মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও ক্রাইম মনিটরিং গ্রুপের যৌথ অভিযানে গাজোলে একটি বাস থেকে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে।’
ধৃতদের একজনের নাম মোশারফ হোসেন (২৮)। বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার গুরুটোলা বীরনগর গ্রামে। অপরজন নাসিম শেখ (২২), তার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার রাজনগর গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে এরা দুজন জাল নোটগুলি নিয়ে বৈষ্ণবনগর থেকে বিহারের দ্বারভাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য একেবারে না গিয়ে ব্রেক জার্নি করে নানা ধরনের যানবাহন ধরে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে এদিন ধৃত ২ তরুণকে পাঠানো হয়েছে মালদা জেলা আদালতে।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল নোট কারবারিরা মালদা জেলাকেই করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে। বৈষ্ণবনগরের কিছু মাথা এই পাচারচক্রের অনেক গভীরে জড়িয়ে রয়েছে। বিভিন্ন ঘটনায় উদ্ধার হওয়া জাল নোটের সূত্র ধরে তদন্তে পুলিশের হাতে এমনই তথ্য উঠে আসছে।
প্রদীপকুমার যাদব জানান, ‘গতকাল বৈষ্ণবনগরে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। ওই ঘটনায় আবদুল রহিম (১৮) ও রহিম শেখ (২০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দুজনেই বৈষ্ণবনগরের চকদেওনাপুর এলাকার বাসিন্দা।’ পুলিশ সুপারের দাবি, ‘বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হওয়া জাল নোটের সিরিয়াল নম্বরে ৯আরকে সিরিজ চলছে। অর্থাৎ একই জায়গা থেকে জাল নোটগুলি আসছে। জাল নোট মালদায় আসার পেছনে ইতিমধ্যে বৈষ্ণবনগরের কয়েকজনকে চিহ্নিত করে নজরদারি চালানো হচ্ছে।’