আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট: কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বলে প্রচারের অভিযোগ উঠল নলহাটি পুরসভার বিরুদ্ধে। এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদে এক্স হ্যান্ডেলে টুইট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র অমিত মালব্য এবং প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের দাবি ‘স্টিকার পিসি’র সরকার সর্বক্ষেত্রে মিথ্যাচার করছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার নলহাটি পুরসভা এলাকায় ৪৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পানীয় জলের প্রকল্পের শিলান্যাস হতে চলেছে। শিল্যানাস করবেন নলহাটি পুরসভার প্রশাসক তথা বিধায়ক রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। এই মর্মে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি বিলি করা হচ্ছে আমন্ত্রনপত্র। সেই পোস্টারে লেখা রয়েছে ‘মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় নলহাটি পুরসভার পানীয় জল প্রকল্পের শুভ শিলান্যাস। নলহাটি পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন সিনেমা হলের নিকট ওই প্রকল্পের শিলান্যস হবে।
এই প্রসঙ্গে অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে একটি নির্লজ্জ, বেকার “স্টিকার পিসি” সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, নলহাটি পুরসভার কথাই ধরুন। তারা একটি পানীয় জল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছে, দাবি করছে যে প্রকল্পটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত! কিন্তু সত্য কী? প্রকল্পটি মোদি সরকারের অমৃত ২.০ প্রকল্পের আওতায় পড়ে। তবুও, চরম নির্লজ্জতার প্রদর্শনে, তৃণমূল সরকার নীল-সাদা পোস্টার লাগিয়ে প্রকল্পটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল এবং প্রকল্পের মিথ্যা কৃতিত্ব দাবি করছে।”
একই টুইট করেছেন প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির রামপুরহাট পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর শুভাশিস চৌধুরী এনিয়ে ফেসবুকে সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ ব্যয় করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আমন্ত্রণ পত্র কিংবা ব্যানারে কোথাও কেন্দ্রের নাম নেই। এরা মিথ্যাচার করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, অমৃত ২.০ হল অটল মিশন রিজুভেনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য শহর এলাকায় বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। সেই প্রকল্পে ৪৪ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নলহাটি পুরসভার প্রশাসক রাজেন্দ্র সিংহের মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এদিকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি রামপুরহাটের মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে।