Raiganj | দাহ্যবস্তুতে মোহনবাটী বাজার যেন জতুগৃহ, আশঙ্কায় ব্যবসায়ীমহল

Raiganj | দাহ্যবস্তুতে মোহনবাটী বাজার যেন জতুগৃহ, আশঙ্কায় ব্যবসায়ীমহল

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জের সেরা বাজার হল মোহনবাটী বাজার। ভোর থেকেই শুরু হয়ে যায় ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। অথচ এই বাজার যেন বাস্তবের জতুগৃহ। যত্রতত্র ছড়িয়ে দাহ্য পদার্থ। জট পাকিয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার, কেবল, ইন্টারনেটের তার। যে কোনও সময় আগুন লাগার আশঙ্কায় সকলে।

রবিবার বাজারে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে এসেছিলেন ভাস্কর ভট্টাচার্য। বলেন, ‘মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় নজর দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে প্রশাসনের কাছে বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। ছোট্ট একটা আগুনের ফুলকি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।’

বাজার সম্পাদক জয়ন্ত সোম বলেন, ‘এর আগে দু’বার আগুন লেগেছিল। তারপর আর বড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।জলের রিজার্ভার তৈরির জন্য পুরসভায় লিখিত অনুরোধ করা হলেও প্রশাসনের দিক থেকে তেমন কোনও উৎসাহ চোখে পড়েনি।’

এদিকে রায়গঞ্জ বণিকসভার সাধারণ সম্পাদক অতনুবন্ধু লাহিড়ি বলেন, ‘বাজার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। এখানে যথেষ্ট পরিসর নেই। পুরপ্রশাসনের পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও সচেতন করতে হবে।’

জেলা বণিক সভার সম্পাদক শংকর কুণ্ডু বলেন, ‘বাজারে শর্টসার্কিটের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতনতা তৈরি করতে লাগাতার প্রচেষ্টা চাই। প্রশাসনিক উদাসীনতা আছেঠিক। তবে আমরাও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তেমন উদ্যোগী নই।’

পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন অরিন্দম সরকার বলেন, ‘বাজারটি অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। বাজারের জন্য রয়েছে কমিটি। তারই পরিচালনা করে। কমিটি জমি দিলে পুরসভার পক্ষ থেকে জলের রিজার্ভার তৈরি করে দেওয়া হবে।’

বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার মানু বর্মন বলেন, ‘ওখানে একটা জটিলতা আছে। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *