নয়াদিল্লি: ঠেলার নাম যে বাবাজি, সেটা এবার টের পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Fee)। ভোট চুরি নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধির (Rahul Gandhi) অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসল কমিশন। এবার ভোটার তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলা বা অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়ায় আধার-সংযুক্ত মোবাইল নম্বর ও ই-সাইন ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন।
গত সপ্তাহে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল দাবি করেছিলেন, ‘কেউ’ অনলাইনে আবেদনের অপব্যবহার করে আলন্দে ৬,০১৮ জন ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। প্রকৃত ভোটারদের পরিচয় জালিয়াতি করে ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে এবং ওটিপি ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অন্য নম্বর।
এবার সেই নিয়ম বদলে কমিশন ঠিক করেছে, নতুন ইসিআই পোর্টাল ও অ্যাপ-এ এখন থেকে ফর্ম ৬ (নতুন ভোটার নিবন্ধন), ফর্ম ৭ (বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নাম মুছে ফেলা বা আপত্তি), ফর্ম ৮ (তথ্য সংশোধন) জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে বাধ্যতামূলকভাবে ই-সাইন করতে হবে। অর্থাৎ আবেদন জমা দেওয়ার পর ব্যবহারকারীকে পাঠানো হবে সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ অ্যাডভান্সড কম্পিউটিং-এর একটি বিশেষ ই-সাইন পোর্টালে। সেখানে আধার নম্বর দিতে হবে, এরপর আধার-লিংকড মোবাইল নম্বরে আসবে একটি ওটিপি। আবেদনকারী সেই ওটিপি দিয়ে নিজের পরিচয় যাচাই করবেন। পরিচয় মিলে গেলে তবেই ফর্ম জমা সম্পন্ন হবে।
নতুন নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের নাম আধার কার্ডের নামের সঙ্গে মেলাতে হবে এবং মোবাইল নম্বরও আধার-সংযুক্ত হতে হবে।
তবে কমিশনের নতুন পদক্ষেপের পরও সমালোচনার রাস্তা থেকে সরতে নারাজ কংগ্রেস (Congress)। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পাটনায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছ নির্বাচন। কিন্তু আজ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়েই গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন রাজ্যে কারচুপি সামনে আসছে। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন আমাদের থেকেই হলফনামা দাবি করছে।’