সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশম শ্রেণির পরীক্ষায় থাকতেই হবে পাঞ্জাবি ভাষা। সিবিএসই, আইসিএসই, আইবি কিংবা রাজ্য বোর্ড যাই হোক না কেন, সব বোর্ডের সিলেবাসেই দশম শ্রেণির বিষয়ের মধ্যে পাঞ্জাবি থাকতেই হবে। এমনই নির্দেশ জারি করেছে পাঞ্জাব সরকার। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন নির্দেশিকা? আসলে এর নেপথ্যে রয়েছে সিবিএসই-র নয়া বিজ্ঞপ্তি।
পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতে অভিনব পদক্ষেপ করেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন। গত মঙ্গলবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই-র দশম শ্রেণির পরীক্ষা দুই বারে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই নির্দেশিকাতেই পড়ুয়াদের হিন্দি ও ইংরিজি পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই ‘স্থানীয় ও বিদেশ ভাষার গ্রুপে’ও রাখা হয়নি পাঞ্জাবি ভাষাকে। এরপরই পাঞ্জাবের শিক্ষামন্ত্রী হজরত বেইনস প্রশ্ন তোলেন এর বিরুদ্ধে। আর তারপরই জারি করা হল নির্দেশিকা।
ঠিক কী জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়? তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের সমস্ত বোর্ডকেই দশম শ্রেণিতে পাঞ্জাবি পড়াতে হবে। এবং সেটাও প্রধান বিষয় হিসেবেই। একে ‘স্থানীয় ও বিদেশ ভাষার গ্রুপে’ও রাখা যাবে না। অন্যথায় বৈধতা পাবে না শংসাপত্র।
এদিকে সিবিএসইর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পাঞ্জাবি ভাষার উল্লেখ না থাকার কারণ হল ওই বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে তা ইঙ্গিতবাহী মাত্র। অর্থাৎ তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিষয়ের ক্ষেত্রে ২০২৫-২৬-এর ক্ষেত্রে সিলেবাস অপরিবর্তিতই থাকবে।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে, পরীক্ষা পাশের শংসাপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করার অধিকার কি রাজ্য সরকারের থাকে? এপ্রসঙ্গে বলা যায়, বোর্ডের পরীক্ষায় কেন্দ্র ও রাজ্য দুইয়েরই নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু কোনভাবেই রাজ্যের ক্ষমতা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিশেষ করে যখন প্রশ্নটা জাতীয় স্তরের পরীক্ষা নিয়ে। তাছাড়া যে বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এত প্রশ্ন, সেই সিবিএসই কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং তার নিয়মাবলী দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রেই এক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন