পুরাতন মালদা: গল্প হলেও সত্যি। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়ানো হচ্ছে অ-আ-ক-খ। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা পুরাতন মালদার সাহাপুরের বিমল দাস মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের। অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা এখনও চেনে না বর্ণমালা। বিদ্যালয়ে ৫৫ জন পড়ুয়ার জন্য ৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকা সত্ত্বেও কেন অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রাথমিক স্তরের বর্ণমালা শেখানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার দিকে আঙুল তুলছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা জীবন মণ্ডল এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “স্কুলের পঠন পাঠন লাটে উঠেছে। যা জ্বলন্ত উদাহরণ স্কুলে অ-আ-ক-খ পড়ানো। অ-আ-ক-খ বর্ণপরিচয় শেখানো হয় শিক্ষার প্রাথমিক পর্যায়ে। অথচ বর্ণপরিচয় পড়ানো হচ্ছে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের। আমরা চাই স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা যাতে ভালো হয়। যদি বর্ণপরিচয় বা অ-আ-ক-খ অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের শেখানো হয়, তাহলে আগামী দিনে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে আমরা চিন্তিত।” এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিমল দাস মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহমেদ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে, সমিতি এডুকেশনের অফিসার নিতা লাহিড়ী বলেন, “কবে কী পড়ানো হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। বর্তমানে অনেক কিছুই ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা হয়ে থাকে। যদি ছবি কেউ তুলে রাখে সে বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
তবে, শিক্ষা আধিকারিকরা এই বিতর্কের বিষয়ে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মালদা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ভরত ঘোষ জানান, “ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষে উপযোগী করার জন্য আমাদের বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা রয়েছে। এজন্য রিমিডিয়াল ক্লাস হয়ে থাকে। সেখানে অনেক পুরনো পড়া আবার মনে করানো হয়। এটা পঠনপাঠনেরই অঙ্গ।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, অনেক সময় বেশি বয়সের শিক্ষার্থীদের সরাসরি উচ্চতর শ্রেণীতে ভর্তি করানো হয়, সেক্ষেত্রে তাদের ভিত মজবুত করার জন্য এ ধরনের পঠন-পাঠন করানো অস্বাভাবিক নয়। শিক্ষা দপ্তরের মতে, রিমিডিয়াল ক্লাসের অংশ হিসেবে এই ধরনের প্রাথমিক পাঠদান কোনও বিতর্কের বিষয় নয়।