খড়িবাড়ি: খড়িবাড়ির বিহার ও নেপাল সীমান্তে রমরমিয়ে চলছে জাল লটারির কারবার। এই অবৈধ কারবারে নাম জড়িয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বারের ছেলের। ঘটনাটি খড়িবাড়ি নয়াহাট এলাকার। জাল টিকিটে এক গ্রাহক পুরস্কার জেতার পরেই অবৈধ কারবারের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, পুরস্কারজয়ী গ্রাহককে টাকা দিতে নারাজ লটারি বিক্রেতা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ অভিযুক্ত বিক্রেতাকে আটক করেছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত লটারি বিক্রেতা বিজেপির খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা মিনা রানী সিংহের ছেলে পরিমল সিংহ। শুক্রবার জনৈক শংকর ঘোষ ২০ সিরিজের একটি লটারি কাটেন সজন চৌধুরী নামে এক লটারি বিক্রেতার স্টল থেকে। সেই টিকিটে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পুরস্কার পায় শংকর। সন্ধ্যায় তিনি লটারি পাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সজন বাবুর কাছে যান। লটারি বিক্রেতা শংকরকে নিয়ে যায় লটারির ডিস্ট্রিবিউটার পরিমল সিংহের কাছে। অভিযোগ, বিজেপি নেত্রীর ছেলে পরিমল প্রথমে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পুরস্কার বিজেতাকে টাকা না দেওয়ার ফন্দি করেন। পরে লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকলে অভিযুক্ত ডিস্ট্রিবিউটর ক্রেতাকে অনলাইনে ৪০ হাজার ও নগদ ১০হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা পাঁচ দিন পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে খড়িবাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত জাল লটারির ডিস্ট্রিবিউটরকে আটক করে খড়িবাড়ি থানায় নিয়ে আসে। বিজেপি নেত্রীর ছেলে যুক্ত থাকার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য বিক্রম গণেশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লটারির ডিস্ট্রিবিউটরশিপের আড়ালে জাল লটারির কারবার করছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার ছেলে। আজ ধরা পড়েছে। পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা মিনা রানী সিংহর দাবি, ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।