Pretend Be aware | সীমান্তে বিপুল জালনোট, তদন্তে এনআইএ 

Pretend Be aware | সীমান্তে বিপুল জালনোট, তদন্তে এনআইএ 

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: চলতি বছরে চার মাসে ১২ জনকে নোট পাচার করতে গিয়ে গ্রেপ্তার করেছে এসটিএফ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিন অর্থাৎ বুধবার তদন্তের ভার গেল এনআইএর হাতে। জানাল বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আধিকারিক ও ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ। ওই জাল
নোট আসছে পাকিস্তান থেকে। বাংলাদেশে সেখান থেকেই ছোট ছোট দল করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায়।

রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বিএসএফের তরফ থেকে। সীমান্তের কাঁটাতার টপকে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা যাতে কোনওমতে দেশে ঢুকতে না পারে তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্ট ইয়ারের আধিকারিকদের তরফ থেকে। পাশাপাশি বিএসএফের গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। দুই দেশের পাচারকারীদের মধ্যে যে সমস্ত নাম বিএসএফের কাছে নথিভুক্ত রয়েছে ও একাধিক মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে।

সেই সমস্ত ফোন নম্বরের ভিত্তিতে আড়ি পাতছে বিএসএফের গোয়েন্দা দপ্তর। কি কথা হচ্ছে? তাদের লোকেশন কোথায়? সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করছেন বিএসএফের গোয়েন্দা দপ্তরের কর্তারা। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাগমারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নিয়ামতপুর, জয়পুরহাটের চকবরকত, পাঁচবিবি, নওপাড়া। দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ, বিরল, ধর্মপুর, রানিপুকুর, রামপুর। ঠাকুরগাঁও জেলার পিরগঞ্জ, হরিপুর, রানিশঙ্কইল, বালিয়াডাঙ্গী।

পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি, আলোয়াখোয়া, ধামুর, জায়গাগুলিতে জাল নোট রাখা হয়েছে। যেকোনও সময় সেখান থেকে কাঁটাতারের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশের দুষ্কৃতী ও জঙ্গিরা। মহম্মদ ইউনুসের জমানায় বাংলাদেশে ফের পুরোদমে সক্রিয় দাউদ ইব্রাহিমের ডি-কোম্পানি। মদত দিচ্ছে পাক
গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। হাসিনা পরবর্তী ওপার বাংলার মাটিতেই চলছে ভারতীয় অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চক্রান্ত। পাকিস্তান থেকে আগত পণ্যের ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হাসিনার আমলে ছিল বাধ্যতামূলক।

সেসব এখন বন্ধ রয়েছে মহম্মদ ইউনূসের নির্দেশে। ভারতের বিএসএফের গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সুযোগে গত অগাস্ট থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে মজুত করা হয়েছে প্রায় ২০০০ কোটি টাকার জাল নোট। কমপক্ষে ১৬টি বড় স্ট্যাক ইয়ার্ড বানানো হয়েছে। এপারের গোয়েন্দারা জেনেছেন, সীমান্তের ওপারে যে জাল নোট (Pretend Be aware) মজুত হয়েছে তা ছাপা হয়েছে দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিমের পেপার মিলে। পাকিস্তানের সিন্ধের কোটরি এলাকার ওই পেপার মিলটি আইএসআই-এর অফিস; ডেস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন পাকিস্তান সিকিওরিটি প্রিন্টিং কন্ট্রোলের অধীন। এপারের গোয়েন্দারা বলছেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে একের পর এক ভারতীয় জাল নোটের কনসাইনমেন্ট পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কনসাইনমেন্টটি এসেছে চট্টগ্রামে।

সেটাও গত নভেম্বর মাসে করাচি থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজে চেপে। এছাড়া দুবাই থেকে ঢাকা ডিপ্লোম্যাটিক ট্যাগ লাগানো ট্রলি ব্যাগ ও স্যুটকেসে ভরে আনা হয়েছে ভারতীয় জাল নোট। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসিনার সময়ে বারবার অভিযান চালিয়ে বন্ধ করা হয়েছিল ঢাকার আইএসআই-এর ট্রানজিট ক্যাম্পগুলি। যাত্রাবাড়ি, কদমতলি, বাদামতলির সেই ঘাঁটিগুলি এখন ফের সক্রিয়। সেখান থেকেই ট্রাক, লরিতে চাপিয়ে জাল নোট নিয়ে গিয়ে মজুত করা হয়েছে। পাচার প্রক্রিয়া যাতে মসৃণ হয়, তাই সীমান্তের এই সমস্ত এলাকায় সবচেয়ে বেশি গোলমাল পাকাচ্ছে বাংলাদেশিরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *