Practice hijack | অভিযান শেষ বালোচিস্তানে, বিদ্রোহীদের খতম করে ৩০০-র বেশি পণবন্দিকে উদ্ধার করল পাক সেনা   

Practice hijack | অভিযান শেষ বালোচিস্তানে, বিদ্রোহীদের খতম করে ৩০০-র বেশি পণবন্দিকে উদ্ধার করল পাক সেনা   

ব্লগ/BLOG
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ট্রেন হাইজ্যাক করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বালোচিস্তানে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ করল পাকিস্তান সেনা। মুক্ত করা হয়েছে ৩০০-র বেশি পণবন্দিকে। এমনই দাবি করা হয়েছে পাক সেনার তরফে। প্রত্যেক বিদ্রোহীকে নিকেশ করেছে পাক নিরাপত্তারক্ষী। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জন পাক সেনার। ৩৪৬ জন পণবন্দিকে মুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ৩০ জন সন্ত্রাসবাদী নিহত।

বুধবার বিদ্রোহী বালোচ লিবারেশন আর্মি দাবি করেছিলেন, পাক সেনা বাহিনীর হাতে বন্দি তাদের সকল সদস্যকে মুক্তি দিতে হবে। নইলে ট্রেনের ভিতরে থাকা পণবন্দিদের হত্যা করা হবে। ৫০ জন যাত্রীকে হত্যা করেছেন, বন্দিদের মুক্তি না দিলে একে একে সকল পণবন্দিকে গুলি করে মারা হবে। এরজন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবার থেকেই পণবন্দিদের মুক্ত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাক নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেট পরে মহিলা এবং শিশুদের ‘মানবঢাল’ বানিয়ে লড়ছিলেন বিদ্রোহীরা। মুহুর্মুহু গুলির লড়াই চলছিল দুই পক্ষের। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের হত্যা করে সব যাত্রীকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানাল পাক বাহিনী। কত যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাক কর্তৃপক্ষের তরফে সেই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুলি চালিয়ে ট্রেনটি হাইজ্যাক করা হয়। তখন ট্রেনটিতে ৪৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। শুরুতেই বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক, মহিলা ও শিশুদের মুক্তি দিয়েছে জঙ্গিরা। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে সঙ্গে সঙ্গেই বিবৃতি দেয় বালোচ লিবারেশন আর্মি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি জানায়, তাঁরা চায় পাকিস্তানের জেলে আটক বালোচ নেতাদের মুক্তি দিক সরকার। না হলে প্রত্যেক পণবন্দীকে হত্যা করা হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *