উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় (Patharpratima Blast) বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত বণিককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
সোমবার রাতে পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানা এলাকার দক্ষিণ রায়পুরের তৃতীয় ঘেরিতে চন্দ্রকান্তদের বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ (Blast) হয়। আগুন ধরে যায় গোটা বাড়িতে। তাতে চার শিশু সহ পরিবারের আট সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মৃত চার শিশুর মধ্যে দু’জনের বয়স এক বছরেরও কম বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারে মোট ১১ জন সদস্য ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় দুই ভাই এবং তাঁদের মা বাড়িতে ছিলেন না। ওই তিনজন বাদে গোটা পরিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে। চন্দ্রকান্ত এবং তুষারের বাবা অরবিন্দ বণিক (৬৫), ঠাকুরমা প্রভাবতী বণিক (৮০) , চন্দ্রকান্তের স্ত্রী সান্ত্বনা বণিক (২৮), দুই সন্তান অর্ণব বণিক (৯) ও অস্মিতা বণিক (৮ মাস) এবং তুষারের দুই সন্তান অনুষ্কা বণিক (৬) এবং অঙ্কিত বণিকের (৬ মাস) ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তুষারের স্ত্রী রূপা বণিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে পরে সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
বণিক পরিবারের বাজির ব্যবসা রয়েছে। মজুত রাখা বাজি থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরে বণিক পরিবারের দুই ভাই চন্দ্রকান্ত এবং তুষারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে ঢোলাহাট থানা। ঘরে বিপজ্জনক বস্তু মজুত রাখা, অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা সহ মোট ছ’টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়। দমকল আইনেও মামলা রুজু হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, বাড়িতে বাজি প্যাকেটজাত করার সময় কোনওভাবে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। বাসন্তীপুজো উপলক্ষ্যে বাজি বিক্রির জন্য মজুত করা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন বাড়ির পাশে একটি ঘর থেকে বাজি তৈরির মশলা এবং অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার হয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, বণিক পরিবারের বাজি তৈরির লাইসেন্স রয়েছে। তবে লাইসেন্স থাকলেও সেখানে অবৈধ বাজি তৈরি হত বলে অভিযোগ। তাছাড়া বসতি এলাকায় বাজি তৈরি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।