উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রামেশ্বরমকে দেশের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের। বহু প্রতীক্ষিত এই পামবান সেতুর উদ্বোধন হয়ে গেল রবিবার। রামনবমীর দিন দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমুদ্রের ওপর নির্মিত এই অত্যাধুনিক সেতুটির নির্মাণ সম্পন্ন করতে সময় লাগল দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর। সেতুটির উপর দিয়ে শুধুমাত্র ট্রেন চলাচলই নয়, নীচ দিয়ে চলাচল করতে পারবে জাহাজও।
পুরাণে উল্লেখ আছে যে জায়গায় রামসেতুর নির্মাণ হয়েছিল সেই জায়গাটির নাম রামেশ্বরম। রামেশ্বরমকে দেশের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে জুড়তে সমুদ্রের ওপর আধুনিক প্রযুক্তিতে পামবান সেতু নির্মাণ করল রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। এই পামবান সেতুর বিশেষত্ব হল এটি দেশের প্রথম ভার্টিক্যাল লিফট সেতু। তামিলনাড়ুর মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরম বা ধনুষকোটির যোগাযোগের জন্য একটি সাধারণ সেতু থাকলেও যা ২০২২ সালের পর থেকে বন্ধ ট্রেন চলাচল। এবার সেটার বদলে নতুন পামবান সেতুর উদ্বোধন হল।
DG Paramesh Sivamani, PTM, TM assumed cost because the twenty sixth Director Normal of Indian Coast Guard. @rashtrapatibhvn @PMOIndia @HMOIndia @DefenceMinIndia@giridhararamane @SpokespersonMoD @PIB_India @IndiaCoastGuard pic.twitter.com/C3MscWiPGo
— Indian Coast Guard (@IndiaCoastGuard) October 15, 2024
২০১৯ সালে শুরু হয় সমুদ্রের উপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ। সেতুটির নির্মাণ কাজ শুর হয়েছিল ২০১৯ সালে। শেষ হল ২০২৫এ। নির্মাণে খরচ পড়েছে মোট ৫৩৫ কোটি টাকা। সমুদ্রের উপর নির্মিত এই সেতুতে যেমন ট্রেন চলাচল করতে পারবে, তেমনই নিচের সমুদ্র দিয়ে জাহাজ চলাচলেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
জানা গিয়েছে, ভারতের মূল ভুখণ্ডের সঙ্গে রামেশ্বরমের সংযোগস্থাপনকারী সেতু পামবান। সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২.০৮ কিলোমিটার। দু’প্রান্তের প্রায় ৩৫ মিটার উঁচু স্তম্ভ থেকে সেই সেতুকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
সেতুর মাঝ বরাবর ৭২.৫ মিটার লম্বা এবং ৬৪০ টনের উলম্ব অংশ আছে, জাহাজ পারাপারের জন্য যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১৭ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে যাবে। এতে সময় লাগবে মাত্র ৫ মিনিট। পুরোনো পামবান সেতুটির নীচ দিয়েও জাহাজ চলাচল করত। তবে জাহাজ চলাচলের জন্য সেতুটি উঁচু করতে সময় লাগতো প্রায় ৪৫ মিনিট। উন্নত প্রযুক্তিতে নির্মিত এই সেতুতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টেইনলেস স্টিল, স্পেশাল পেইন্ট, এবং এমন উপাদান যা আগামী ১০০ বছরেও সুরক্ষিত থাকবে। সেতুটির উপর দিয়ে ৭৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে যাত্রীবাহী ট্রেন। এখন থেকে খুব সহজেই পৌঁছানো যাবে রামেশ্বরম। দূরত্ব কমবে শ্রীলঙ্কারও।