Pakistan flood | হড়পা বানে ভেসে গেল পাকিস্তানের একাধিক গ্রাম, উদ্ধারকাজে গিয়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, মৃত্যু বেড়ে ২৫০    

Pakistan flood | হড়পা বানে ভেসে গেল পাকিস্তানের একাধিক গ্রাম, উদ্ধারকাজে গিয়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, মৃত্যু বেড়ে ২৫০    

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মেঘভাঙা বৃষ্টি আর ধসে ভয়াবহ পরিস্থিতি পাকিস্তানের উত্তর প্রান্তের শহর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একাধিক এলাকা। এই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে উদ্ধার কাজে নামানো একটি সেনা হেলিকপ্টার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কপ্টারের পাঁচ সেনার। পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সেনাকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি আরও বেশি সেনা মোতায়েন করে উদ্ধার কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দেন।

জানা গিয়েছে, মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বেশ কয়েকটি এলাকা। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাজাউর। গত ২৬ জুন থেকে ওই এলাকায় পূর্ণ মাত্রায় বর্ষা শুরু হয়েছে। বন্যার কারণে সমস্যা তীব্রতর করে তুলেছে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি। খাইবার পাখতুনখোয়ার দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জল ঢুকে অচল হয়ে গেছে। অচল মোবাইল পরিষেবা। ফলে উদ্ধারের কাজ পুরোদমে শুরু করা যাচ্ছে না। আধিকারিকদের আশঙ্কা জলবন্দি বহু মানুষ এখনও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। উদ্ধারকারী দল দল এখনও পৌছাতেই পারেনি দুর্গম পাহাড়ের কোলে অবস্থিত গ্রামগুলিতে। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হড়পা বানে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছিল পাক সেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টার। সেই উদ্ধারকাজ চালানোর সময় হেলিকপ্টারটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে সেটি মোহমন্দ জেলার পান্ডিয়ালি এলাকার বাজাউরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে। হেলিকপ্টারে মোট পাঁচ জন ছিলেন। তাঁদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন পাইলট ছিলেন।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এই দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখনও পর্যন্ত ২৫০ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পাকিস্তানের এই এলাকায় বর্যায় মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নতুন নয়। প্রতি বছরই এক দু’বার হয়ে থাকে। শুক্রবারের পরিস্থিতি তুলনায় অনেক ভয়াবহ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *