উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) নূর খান বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হানা নিয়ে বড়সর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করল পাকিস্তান। পাকিস্তানের অন্যতম প্রবীণ রাজনীতিক ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ সহযোগি রানা সানাউল্লাহ বৃহস্পতিবার দাবি করেন, যে বারত নুর খান বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে যে ব্রহ্মোস (BrahMos) ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করেছিল সেটি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করে কিনা তা বুঝতে পাক সেনার কাছে মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড সময় ছিল। আর সেই সময়টাই ছিল অত্যন্ত আতঙ্কের। যা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিচলিত করে তুলেছিল। সানাউল্লাহ দাবি করেছেন ‘এটি ছিল একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’ তার কথায়, ‘আমি এমনটা বলছি না, যে ভারত পরমাণু বোমা ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ঠিক করেছে, কিন্তু ওই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে যদি ভুল ধারনা করা হত তাহলে তা থেকে পরমাণু যুদ্ধের সূচনা হতে পারত।’ এই পরিস্থিতিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যুদ্ধ থামানোর কৃতিত্ব দিয়েছেন সানাউল্লাহ। তিনি জানান, এই কারণেই শেহবাজ শরীফের সরকার ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করেছে।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডির চাকলালায় অবস্থিত নূর খান বিমানঘাঁটি পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা পরিকাঠামোর মধ্যে পড়ে। এই বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ১৯৭১ সালেও হামলা চালিয়েছিল ভারত। অপারেশন সিন্দুরের অংশ হিসেবে ভারত ১০ মে পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। যার ফলে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটির রানওয়ে, বাঙ্কার এবং হ্যাঙ্গার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপগ্রহচিত্রেও এই ক্ষয়ক্ষতি ধরা পড়ে।
সানাউল্লাহ স্বীকার করেছেন যে এই বিমানঘাঁটিতে হামলার ঘটনা পাকিস্তানকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল, যার ফলে সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। উল্লেখ্য, সপ্তাহ দুয়েক আগে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসহাক দারও স্বীকার করেছেন ভারত পাকিস্তানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। প্রাথমিকভাবে হামলার অভিযোগ অস্বীকারের চেষ্টা করলেও ধীরে ধীরে সত্যকে স্বীকার করতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।