উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ফিরল পহেলগাঁওয়ে (Pahelgm) মৃত ২ পর্যটকের দেহ। বুধবার রাত ৮ টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় বিতান দাশগুপ্ত ও সমীর গুহর কফিনবন্দি দেহ। দুজনেই পরিবারের সঙ্গে কাশ্মীর (Kashmir) ঘুরতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের আরও এক বাসিন্দা মণীশ রঞ্জনের দেহ রাঁচি হয়ে তাঁর পুরুলিয়ার বাড়িতে পৌঁছবে। বিমানবন্দর থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে পাটুলি বৈষ্ণবঘাটার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বিতান দাশগুপ্তের কফিনবন্দি দেহ, অন্যদিকে একই ভাবে মৃত সমীর গুহর দেহ নিয়ে বেহালার সখের বাজারের বাড়িতে ফেরেন তার পরিবারের লোকজন। বিমানবন্দরে রাজ্যের তরফে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি অগ্নিমিত্রা পালেরা। শুভেন্দু বিমানবন্দরে বিতানের ছোট ছেলেকে কোলে তুলে নেন। শুভেন্দুকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিতানের স্ত্রী সোহিনী। সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে বিতান দাশগুপ্তর স্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন শুভেন্দু।
বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর গুহ কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদে রয়েছেন। কয়েক দিন আগেই পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। টেক্সাসে কর্মরত বিতান দাশগুপ্তও সম্প্রতি ফ্লোরিডা থেকে ফিরে পরিবারকে নিয়ে কাশ্মীর বেড়াতে যান। কিন্তু জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ যায় তারও। কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কর্মী মণীশ রঞ্জন মিশ্র হায়দরাবাদে থাকতেন। গত ১৫ এপ্রিল সেখান থেকেই পরিবারকে নিয়ে ভ্রমণে বেরোন মণীশ। অযোধ্যা, হরিদ্বার ঘুরে কাশ্মীরে যান। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও।