উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Assault) নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে এবার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ (BJP Rajya Sabha MP) রামচন্দ্র জাংরা (Ram Chander Jangra)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার সময় উপস্থিত মহিলা পর্যটকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সেই সময় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ছিল মহিলাদের। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় জেরে যারা নিজেদের পরিবারের সদস্যকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল না হওয়ার জন্য রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে বিজেপি সাংসদের মন্তব্য।
রানি অহল্যাবাঈ হোলকর জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন রামচন্দ্র জাংরা। সেখানেই ভাষণ দেওয়ার তিনি বলেন, ‘তাঁদের (মহিলা পর্যটকদের) লড়াই করা উচিত ছিল। আমি বিশ্বাস করি তাঁরা লড়াই করলে হতাহতের সংখ্যা কম হত। যদি সমস্ত পর্যটক অগ্নিবীর হতেন, তাহলে তাঁরা জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে পারতেন। যা হতাহতের সংখ্যা কমাতে পারত। আমাদের দেশের বোনেদের মধ্যে রানি অহল্যাবাঈয়ের মতো সাহসিকতার চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।’
রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুডা রামচন্দ্র জাংরার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ এটিকে বিজেপি নেতাদের ‘ক্ষুদ্র ও অবমাননাকর মানসিকতা’র প্রতিফলন বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর কথায়, ‘এই মন্তব্য লজ্জাজনক। ক্ষমতার নেশায় মত্ত বিজেপি এতটাই অসংবেদনশীল হয়ে উঠেছে যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তার ত্রুটির জন্য কাউকে দায়ী করার পরিবর্তে, দলের নেতারা নিহত পর্যটক এবং তাঁদের স্ত্রীদের দিকে আঙুল তুলছেন। জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতৃত্বের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও রামচন্দ্র জাংরার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে এটিকে গভীরভাবে আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ভারতীয় সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশির ধর্মীয় পরিচয় টেনে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপির মন্ত্রী বিজয় শা। কর্নেল কুরেশিকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি। পরে বিতর্কের জেরে ক্ষমা চাইলেও কোনও লাভ হয়নি। উলটে আইনি বিপাকে পড়েছেন তিনি। সেই রেশ না কাটতেই ফের পহেলগাঁও কাণ্ডে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন আরও এক বিজেপি নেতা।