উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক : ‘আগে জঙ্গিরা সম্পূর্ণ নিকেশ হোক, তবেই ন্যায়বিচার মিলবে’, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এমনই মন্তব্য করলেন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত সমীর গুহের স্ত্রী শবরী।
স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন বেহালার সখেরবাজারের বাসিন্দা সমীর। হামলার পরদিনই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আর ফেরা হয়নি বেহালার বাসিন্দা সমীরের। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার ১৫ দিন পর মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) পাঁচটি এবং পঞ্জাব প্রদেশে চারটি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
সেনার তরফে বুধবার বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১টা বেজে ৫ মিনিট থেকে দেড়টার মধ্যে অপারেশন সিদুঁর সেরেছে ভারত। ভারতীয় সেনার তরফে শিয়ালকোট, মুরিদকে, কোটলি, বাহওয়ালপুর এবং মুজফ্ফরাবাদের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। মুরিদকেতেই রয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সদর দপ্তর। অন্যদিকে, বাহওয়ালপুরে রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ৮০ থেকে ৯০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে প্রত্যাঘাতে।
সেনা তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হয়েছে, ‘জাস্টিস ইজ সার্ভড’। তবে নিহত সমীরের স্ত্রী শবরী বললেন, ‘আগে জঙ্গিরা সম্পূর্ণ নিকেশ হোক, তবেই ন্যায়বিচার মিলবে।’ অনেকে বলছেন, পহেলগাঁওয়ে স্বামীহারাদের ন্যায়বিচার দিতেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণ। তবে শবরীর মুখে তার ভাবলেশ নেই। তাঁর কথায়, ‘পালটা আঘাত তো করতেই হত। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের শেষ করা উচিত। কিন্তু আমাদের যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা তো আর পূরণ হবে না। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হোক, এটাই চাইব।’