উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলার পর্যটকদের জম্মু কাশ্মীর ভ্রমণে আহ্বান জানালেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ওমর। বৈঠকের পর ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘দিদির সঙ্গে একত্রে আমি এই প্রচেষ্টাই করব যাতে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গ শিল্পায়ন, বাণিজ্য ও পর্যটনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারে। আমি চাই, পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি পর্যটক জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণ করুন। তাঁদের যত্ন নেওয়া এবং তাঁদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা আমাদের দায়িত্ব।’
ওমরের পাশে দাঁড়িয়ে জম্মু ও কাশ্মীর সফরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক কাশ্মীর ভ্রমণ করতে পারেন। দুর্গাপূজার পর তিনি নিজে জম্মু ও কাশ্মীর সফরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
পহেলগাঁওয়ে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই প্রথম দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হল। সেদিনের ওই মর্মান্তিক হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের তিন পর্যটকও ছিলেন। এদিন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ‘ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’ (Journey and Tourism Truthful)-এর উদ্বোধনও করেন।
এদিন বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওমরজি পহেলগাঁও হামলার পর এখানে এসেছেন এবং আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করেছি। দুর্গাপূজার পর আমি যাওয়ার চেষ্টা করব। আমরা জম্মু ও কাশ্মীরকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিতে প্রস্তুত। আমাদের পর্যটকরা আবার কাশ্মীর যাবেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
মমতা আরও বলেন, ‘ওমরজি আশ্বাস দিয়েছেন যে, তাঁরা পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা এবং সমস্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। কেন্দ্রকেও এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। কাশ্মীর এত সুন্দর জায়গা, সারা দেশের পর্যটকরা সেখানে যেতে চান। কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ওমর জি-র হাতে নেই, সেগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। প্রয়োজন হলে, কেন্দ্রকে ওমর আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে, যাতে দেশি-বিদেশি উভয় পর্যটকই সেখানে যেতে পারেন।’ এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা পর্যটন এবং কারিগরি শিক্ষায় একসঙ্গে কাজ করব। আমি মৌ (memorandum of understanding) স্বাক্ষরের অনুরোধ করব। আরও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হওয়া উচিত।”