উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেটার নয়ডায় পণের দাবিতে বধূর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার করা হল বাকি দুই অভিযুক্তকে (Noida Dowry Dying)। সোমবার হরিয়ানার (Haryana) সিরসা টোল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহত নিকি ভাটির ভাসুর রোহিত ভাটিকে। এরপরই কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিকির শ্বশুর সত্যবীর ভাটিকেও। নিকির স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আগেই। এনিয়ে ঘটনায় চার অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে গ্রেটার নয়ডার সিরসা গ্রামের বাসিন্দা বিপিন ভাটির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নিকির। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই দম্পতির মধ্যে যৌতুক নিয়ে ঝামেলা হত। ৩৬ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়েছিল নিকির বাপের বাড়ির কাছে। আর তা দিতে না পারায় নিকিকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নিকির দিদি তথা ওই পরিবারেরই আরেক বধূ কাঞ্চন গত ২২ অগাস্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছিলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে নিকিকে প্রথমে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে মারধর করেন। এরপর তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেই দাবি কাঞ্চনের। এমনকি একই কথা জানিয়েছে নিকির শিশুপুত্রও। এমনকি ঘটনার কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কাঞ্চনের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে নিকির স্বামী বিপিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু নিকিকে পুড়িয়ে মারার আগে যে দাহ্য পদার্থ কিনেছিল বিপিন, সেই থিনারের (Thinner) বোতল উদ্ধার করতে বিপিনকে রবিবার নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। ওই সময় বিপিন এক অফিসারের পিস্তল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে এবং পালিয়ে যায়। বহুবার সতর্ক করার পরও না থামায় পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তারপর বিপিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় সকলের নজর এড়িয়ে আহত ছেলে বিপিনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন নিকির শাশুড়ি দয়াবতী ভাটি।
অভিযুক্ত বিপিনকে আপাতত ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বিপিন সম্প্রতি নিকির বাবার কেনা একটি বিলাসবহুল গাড়িও দাবি করেছিলেন। ইতিমধ্যে, জাতীয় মহিলা কমিশন মামলাটি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের শীর্ষ পুলিশ আধিকারিককে তিনদিনের মধ্যে একটি বিস্তারিত পদক্ষেপের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।