New Delhi | ১৫ মাসে নিহত ৪০০ সদস্য, কেন্দ্রকে সংঘর্ষবিরতির আবেদন মাওবাদীদের

New Delhi | ১৫ মাসে নিহত ৪০০ সদস্য, কেন্দ্রকে সংঘর্ষবিরতির আবেদন মাওবাদীদের

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


নয়াদিল্লি: রাজ্যে রাজ্যে টানা অভিযানের জেরে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাওবাদীরা। চাপের মুখে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠনটি। মাওবাদীদের সেন্ট্রাল কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা সংঘর্ষবিরতিতে রাজি। এবার অভিযান বন্ধ রাখুন।’

কয়েক দশক ধরে ভারতের নানা জায়গায় হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী, প্রশাসনিক আধিকারিক, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। একাধিক গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে। বিপরীতে মাওবাদীদের ঠেকাতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আধাসেনা ও একাধিক রাজ্যের পুলিশ। ২০২৬-এর মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারতের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। তবে সাম্প্রতিককালে মাওবাদীদের তরফে কেন্দ্রের কাছে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব নজিরবিহীন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গত কয়েক মাসে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মাওবাদীদের যে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সামাল দিতেই তারা সংঘর্ষবিরতির আবেদন জানিয়েছে। মাওবাদীদের মুখপাত্র বিজয়ের তেলুগুতে লেখা বার্তাতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি জানিয়েছেন, ২৪ মার্চ মাওবাদী শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতা অবিলম্বে সংঘর্ষবিরতির পক্ষে সওয়াল করেছেন। সরকারি বাহিনীর অভিযানে গত ১৫ মাসে ৪০০-র বেশি মাওবাদী নেতা, সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকশো জনকে গ্রেপ্তার করেছে আধাসেনা ও পুলিশ।

মাওবাদীদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা চাই মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক। নিরাপত্তাবাহিনীর নতুন ক্যাম্প তৈরির কাজও আপাতত স্থগিত থাকুক। সরকার রাজি থাকলে আমাদেরও সংঘর্ষবিরতিতে আপত্তি নেই।’

সরকারি হিসাব বলছে, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সবচেয়ে বেশি মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে ছত্তিশগড়ে। এক সময়ের মুক্তাঞ্চল বাস্তারেই গত বছর মারা গিয়েছে ২৮৭ জন মাওবাদী। ৮৩৭ জন আত্মসমর্পণ করেছে। ধৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। অস্তিত্বের সংকটে পড়ে যে মাওবাদীদের তরফে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব এসেছে সে ব্যাপারে একমত পর্যবেক্ষক মহল। যদিও এ নিয়ে কেন্দ্র বা কোনও রাজ্য সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *