New Delhi । দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালি মন জয়ে আসরে বাংলার বিজেপি সাংসদরা

New Delhi । দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালি মন জয়ে আসরে বাংলার বিজেপি সাংসদরা

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : দিল্লির বাঙালিদের ভোট পেতে এবার আসরে বাংলার সাংসদরা। দিল্লির ১৭ লক্ষ বাঙালি ভোটারের মন জিততে এবার বাংলার সাংসদদের ভোট ময়দানে নামাল বিজেপি। বাঙালি সমাজের ভোট টানতে রাজধানীতে প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে মকর সংক্রান্তি পালন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন বাংলার আরও দুই সাংসদ জয়ন্ত রায় এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। দলের তরফে আগেই বাংলার সাংসদদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচারে যেতে হবে বাংলার সাংসদদের। সেই অনুযায়ী ২৭ জানুয়ারি থেকে দিল্লির বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচারে নামছেন সুকান্ত মজুমদার।

শনিবার নয়াদিল্লির স্বর্ণজয়ন্তী অ্যাপার্টমেন্টে প্রবাসী বাঙালিদের মকর সংক্রান্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বাংলার তিন সাংসদ। সেখানেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম নির্বাচনি প্রচার হিসেবে দুর্নীতি ইস্যুতে একই সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেজরিওয়ালকে বিঁধলেন সুকান্ত মজুমদার। বললেন, ‘দিদি এবং ভাই– দুজনেই একই স্বভাবের। দুর্নীতিতেও দুজনেই একই জায়গায় অবস্থান করছে।’

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে ‘বাংলা সেল’ গঠন করেছে বিজেপি। বাঙালি ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই এই সেল তৈরি করা হয়েছে৷ সেই বাংলা সেলের হয়েই দিল্লিতে প্রচারের কাজ করছেন সাংসদরা। এদিন জয়ন্তকুমার রায় বলেন, ‘দিল্লি বিধানসভায় এবার বাংলা সেল গঠন করা হয়েছে। বাংলায় পুস্তিকা বা ইস্তেহারও প্রকাশ করা হয়েছে।’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর দলের সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এবার সেই মর্মেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৫ ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আমআদমি পার্টির বিরুদ্ধে বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে প্রচারে বাংলার সাংসদদের ওপরেই ভরসা রাখছে।

বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আপের বিরুদ্ধে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলার পাঁচ নেতাকে বলা হয়েছে মূলত বাঙালি ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্যই। সেই মর্মেই সুকান্ত মজুমদারের প্রথম নির্বাচনি প্রচারেই উঠে এসেছে বিবেকানন্দ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা। বারবার ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাংলার সংস্কৃতির কথা। জয়ন্ত রায়ও তাঁর বক্তব্যে দুর্গেশনন্দিনী এবং বঙ্কিমচন্দ্রের কথা স্মরণ করিয়েছেন প্রবাসী বাঙালিদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *