উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের পরও থামছে না অশান্তি। এবার নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেল (Bishnu Paudel)-কে রাস্তায় তাড়া করে পেটানোর অক্ষিযোগ উঠল বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে সেই ঘটনার ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ) ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিক্ষোভকারীরা নেপালের (Nepal Protests) পার্লামেন্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। গোটা পার্লামেন্ট ভবন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নেপালের সুপ্রিম কোর্টেও উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালিয়েছে। ভাঙচুর হয়েছে নেপালের অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরেও।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নেপাল সরকার। তা ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় ওলির সিদ্ধান্ত। প্রতিবাদে পথে নামে দেশের ছাত্র-যুবরা। তাদের বিক্ষোভে সোমবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল রাজধানী কাঠমান্ডু। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর। এরপর বিক্ষোভের ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। চাপে পড়ে রাতেই নেপাল সরকার সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে বিবৃতি জারি করেছিল। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এদিন সকাল থেকে ওলির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যেতে থাকে। চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে হয় ওলিকে। প্রবল জনরোষের মুখে পড়ে অবশেষে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। কিন্তু তারপরও যেন অশান্তি থামছে না।
এদিকে নেপালে উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে ভারত-নেপাল সীমান্তে। নেপালের সঙ্গে ভারতের প্রায় ১,৭৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ভারতের উত্তরাখণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্য নেপালের সীমান্তবর্তী। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পাঁচ রাজ্যেই সীমান্তে তৎপরতা বেড়েছে। কোনোভাবেই যাতে নেপালের আন্দোলনের আঁচ ভারতে না পড়ে, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’।